১৩টি রাজ্যের সংস্থাগুলিকে লেট পেমেন্ট করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদও পূর্ণ হয়েছে।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনটা এ দেশে অতীতে হয়েছে কি না তা বলা মুশকিল। তবে বিদ্যুৎ ঘাটতি এবং বকেয়া বিল না মেটানোর জন্য শীঘ্রই অন্ধকারে ডুবতে চলেছে দেশের ১৩টি রাজ্য। ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে। পাওয়ার এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে বিদ্যুৎ কেনা-বেচার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, ঝাড়খণ্ড, বিহার, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং ছত্তিশগড় সহ মোট ১৩টি রাজ্যের উপর।
যে সব রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে, সেখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেখানকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে বকেয়া টাকা শোধ করেনি রাজ্য। তাই সেখানে নেমে আসতে পারে অন্ধকারের ঘনঘটা। তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, ঝাড়খণ্ড, বিহার, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং ছত্তিশগড়- এই ১৩টি রাজ্য শীঘ্রই অন্ধকারে ডুবতে পারে বলে অনুমান।
পাওয়ার সিস্টেম অপারেশন কর্পোরেশন লিমিটেড (POSOCO) তিনটি পাওয়ার এক্সচেঞ্জকে এ নিয়ে বার্তা দিয়েছে। ১৩টি রাজ্যের ২৭টি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে অচিরেই এই ১৩টি সংস্থায় বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা যেতে পারে। আর তার ফল ভুগতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। ১৩টি রাজ্যের মোট ৫,০৮৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে থাকা POSOCO সারা দেশে বিদ্যুৎ বন্টনের প্রতিটি দিক দেখাশোনা করে। এই প্রথম ভারতে একসঙ্গে এতগুলো রাজ্যের বিদ্যুৎ কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল এই সংস্থা। অতীতে কিছু রাজ্যর উপর এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে একসঙ্গে ১৩টি রাজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘটনা এই প্রথম। ১৩টি রাজ্যের সংস্থাগুলিকে লেট পেমেন্ট করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদও পূর্ণ হয়েছে। তাই এই ১৩টি রাজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।