img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

DCI: 'উদ্বেগজনক', কেনিয়ায় দুই ভারতীয় খুন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ভারতের

উল্লেখ্য, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় একটি সংস্থাকে প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি রুটো। ওই সংস্থায় কাজ করতেন জুলফিকার এবং মহম্মদ জইদ নামের দুই ভারতীয়।

img

অরিন্দম বাগচি

  2022-10-25 13:33:02

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেনিয়ার (Kenya) নির্বাচনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করার কারণে খুন করা হয়েছে দুই ভারতীয় যুবককে। এবার বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল দেশের বিদেশমন্ত্রক। সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) বলেন, "গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভারত। ইতিমধ্যেই কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার। কেনিয়া সরকারের কাছে এই হত্যার ঘটনা নিয়ে বিশদ তদন্তের দাবিও জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক।" প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেনিয়ায় দুই ভারতীয় যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি সামনে এসেছে। যদিও, কেনিয়া সরকারের তরফে এই বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।

আরও পড়ুন: কমল সিত্রাংয়ের দাপট! আজ সকাল থেকেই ঝলমলে আকাশ

সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে অরিন্দম বাগচি বলেন, “কেনিয়া সরকারের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। দুই ভারতীয় যুবক আদৌ খুন হয়েছেন কিনা, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কেনিয়া সরকারকে। ভারতে নিযুক্ত কেনিয়ার হাই কমিশনারকেও ডেকে পাঠিয়ে এই বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। জুলাই মাস থেকে দুই ভারতীয় যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে কেনিয়া সরকারের কাছে।” 

বিষয়টিতে কেনিয়া সরকারের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, "দুই যুবক এখন কোথায় রয়েছেন, আদৌ তাঁরা বেঁচে আছেন কিনা, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই কেনিয়া প্রশাসনের কাছে। কেনিয়া সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। ইতিমধ্যেই আমরা প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর কাছে আমাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছি। ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিশ।"

উল্লেখ্য, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় একটি সংস্থাকে প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি রুটো। ওই সংস্থায় কাজ করতেন জুলফিকার এবং মহম্মদ জইদ নামের দুই ভারতীয়। রাষ্ট্রপতির সহায়ক ইতুম্বি  জানিয়েছেন, গত জুলাইতে রোড এলাকা থেকে ট্যাক্সিচালক নিকোদেমাস মাওয়ানির সঙ্গে নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। সেই ঘটনার চার মাস পর ওই দুই ভারতীয় খুন হয়েছেন জানিয়েছে রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ঠ মহল। 

যদিও এখনও ওই দুই ভারতীয়র খুনের ব্যাপারে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি কেনিয়া সরকার। তবে এই খুনের বিষয়ে কেনিয়ার তদন্তকারী সংস্থা ডিসিআই-র একটি শাখা স্পেশাল সার্ভিস ইউনিট বা এসএসইউ-র দিকে আঙুল তুলেছেন রুটো সমর্থকরা। এসএসইউ-র বিরুদ্ধে এর আগেও বার বার বিনা বিচারে আটকে রাখা, অপহরণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, গত নির্বাচনে রুটোর জয় আটকানোর সবরকম চেষ্টা চালিয়েছিল তাঁরা। সম্প্রতি এসএসইউ-র ২১ জন গোয়েন্দাকে রাজধানী নাইরোবিতে তলব করা হয়। এর পরই তদন্তকারী সংস্থা ডিসিআই-র ওই শাখাটিকে ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই এই খুন করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Tags:

MEA

Arindam Bagchi

Kenya


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর