২৫ লক্ষ টাকার বেশি কর ফাঁকি দিলে করদাতার জেল হতে পারে সাত বছর পর্যন্ত...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা অতিমারি পর্বে সময়সীমা পেরিয়া যাওয়ার পরেও আয়কর (Income Tax) জমা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল সরকার। তবে যেহেতু করোনা পর্ব কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশ, তাই চলতি বছর আয়কর জমার সময়সীমা বৃদ্ধির কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি আয়কর দফতরের তরফে। যার অর্থ, ৩১ জুলাই আয়কর জমা দেওয়ার শেষ দিন।
তবে নির্দিষ্ট এই দিনের মধ্যে আয়কর জমা না দিলে এই অর্থবর্ষের জন্য যে আর আয়কর জমা দেওয়া যাবে না, তা কিন্তু নয়। কারণ আয়কর জমা দেওয়া যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে যেহেতু নির্দিষ্ট সময়সীমার (৩১ জুলাই) মধ্যে আয়কর জমা দেওয়া হয়নি, তাই এজন্য গুণতে হবে জরিমানা। বার্ষিক রোজগার পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি হলে জরিমানা দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। রোজগার পাঁচ লক্ষ টাকার কম হলে জরিমানা দিতে হবে এক হাজার টাকা।
মনে রাখতে হবে, যাঁরা কর (Income Tax) দিতে দায়বদ্ধ, তাঁদের আইটিআর ফাইল করতে হবে। তা না হলে আয়কর দফতর করদাতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারে। কর ফাঁকির জন্য করদাতার আয়কর নোটিশ সহ তিন মাস থেকে দু বছরের কারদণ্ড হতে পারে। করদাতা যদি ২৫ লক্ষ টাকার বেশি কর ফাঁকি দেন তাহলে তাঁর জেল হতে পারে সাত বছর পর্যন্ত।
আরও পড়ুুন: প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ৫০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা মোদির
রিটার্ন দাখিল করার পর ই-ভেরিফিকেশন করাও প্রয়োজন। কেননা, ই-ভেরিফিকেশন ছাড়া আইটিআর বৈধ বলে বিবেচিত হবে না। এই ই-ভেরিফিকেশনের জন্য আয়কর দফতর করদাতাদের ১২০ দিন সময় দেয়। এই সময়সীমার মধ্যেই আধারের মাধ্যমে করতে হবে ই-ভেরিফিকেশন। প্রসঙ্গত, নির্দিষ্ট সময়ের (৩১ জুলাই) মধ্যে আয়কর (Income Tax) জমা দিতে না পারলে, ট্যাক্স ডিডাকশনের যেসব সুযোগ সুবিধা মেলে, করদাতা সেগুলি নাও পেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বেড়ে যাবে ট্যাক্স লায়াবিলিটি। যার অনিবার্য পরিণতি আয়করের পরিমাণ বৃদ্ধি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।