img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Varanasi Blasts: ১৮ বছর পর বারাণসী বিস্ফোরণকাণ্ডে ফাঁসির সাজা ওয়ালিউল্লাহ খানকে

অভিযুক্ত তিন বাংলাদেশি অধরা...

img

এখানেই ঘটানো হয়েছিল বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি

  2022-06-07 13:25:48

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসী বিস্ফোরণকাণ্ডে (varanasi blasts case) দোষী সাব্যস্ত ওয়ালিউল্লাহ খানকে মৃত্যুদণ্ড দিল গাজিয়াবাদ আদালত। 

২০০৬ সালের ৭ মার্চ বারাণসীতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ (blasts) মৃত্যু হয়েছিল ২৮ জনের। জখম হন শ’খানেক মানুষ। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বারাণসীর সংকটমোচন মন্দির (Sankatmochan Temple) এবং ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন এলাকায়। তদন্তে নামে পুলিশ। দশাশ্বমেধ ঘাট (Dashashwamedh Ghat) থেকে উদ্ধার হয় প্রেসারকুকার বোমা (Pressure Cooker Bomb)। বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৬ সালের ৫ এপ্রিল প্রয়াগরাজ (Prayagraj) জেলা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে ওয়ালিউল্লাহ খানকে। শুরু হয় মামলা।

হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা পাঠিয়ে দেওয়া হয় গাজিয়াবাদ (Ghaziabad) আদালতে। বিচার চলে প্রায় ১৬ বছর। শেষমেশ গাজিয়াবাদ সেশন কোর্টের বিচারক জিতেন্দ্র কুমার সিনহা দোষী সাব্যস্ত করেন ওয়ালিউল্লাহকে। খুন, খুনের ষড়যন্ত্র, বিস্ফোরণ সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে। ওয়ালিউল্লাহর পক্ষে সওয়াল করতে রাজি হননি কোনও আইনজীবীই। তার পরেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট মামলাটি পাঠিয়ে দেয় গাজিয়াবাদ সেশন কোর্টে। সেই আদালতই প্রথমে ওয়ালিউল্লাহকে দোষী সাব্যস্ত করে। পরে দেওয়া হয় সাজা।

আরও পড়ুন : দাবানলের আঁচে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, কাঁপল কাশ্মীরের পুঞ্চ

বিস্ফোরণের দিনটি ছিল মঙ্গলবার। ভগবান সংকটমোচনের দিন। প্রতি মঙ্গলবার ওই মন্দিরে ব্যাপক ভিড় হয়। সেই কারণেই দোষী ব্যক্তিরা বিস্ফোরণের জন্য মঙ্গলবারটিকেই বেছে নিয়েছিল। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের বাগপতের তান্ডা গ্রামে এই হামলার ছক কষা হয়েছিল। ঘটনার মূল চক্রী মহম্মদ জুবায়ের স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াত। এই জুবায়ের, ওয়ালিউল্লাহ এবং এলাহাবাদের ফুলপুরের এক ধর্মগুরু দেওবন্দে ( Deoband) সহপাঠী ছিল। তারা একে অপরকে চিনত।

বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে জুবায়ের ও ওয়ালিউল্লাহ দুজনেই হরকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি, সংক্ষেপে হুজির (HuJi) সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরাই বারাণসীতে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে তিন বোমা তৈরিতে দক্ষ জঙ্গিকে এদেশে  নিয়ে এসেছিল।

ওয়ালিউল্লাহ তাদের প্রসার কুকার কিনতে ও বারাণসীর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটানোর জায়গা খুঁজতে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশি তিন জঙ্গি মুস্তাকিন, বশির এবং জাকারিয়া জুবায়ের সঙ্গে মার্চ মাসে ফুলপুরে এসেছিল। সেখানেই জুবায়ের তাদের সঙ্গে ওয়ালিউল্লাহর পরিচয় করিয়ে দেয়। ঘটনার মাসখানের পরেই ওয়ালিউল্লাহ গ্রেফতার হয়। বাগপত ছেড়ে পালায় জুবায়ের। তিন বাংলাদেশি জঙ্গি ফিরে যায় বাংলাদেশে। ১০ মে পুলিশ ও সেনার যৌথ অভিযানে কাশ্মীরে খতম হয় জুবায়ের।

আরও পড়ুন :হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

 

Tags:

Varanasi

varanasi blasts

Death penalty for 2006 varanasi blasts

2006 varanasi blasts case

2006 varanasi blasts

Dashashwamedh Ghat

Sankatmochan Temple

Pressure Cooker Bomb


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর