img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Death Penalty in India: মৃত্যুদণ্ড তাদেরই দেওয়া হোক, যাদের সংশোধনের সুযোগ নেই, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

কেন্দ্রের উচিত কম বেদনাদায়ক ও মর্যাদাপূর্ণ কোনও উপায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা...

img

ফাইল ছবি।

  2023-03-24 08:48:59

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty in India ) কেবল সেই সব দোষীকেই দেওয়া হোক, যাদের সংশোধনের কোনও সম্ভাবনাই নেই। পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (D Y Chandrachud) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে সুন্দররাজন নামক এক ব্যক্তিকে দেওয়া প্রাণদণ্ডের আদেশ মকুব করে দেশের শীর্ষ আদালত। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনে কেন্দ্রের উচিত কম বেদনাদায়ক ও মর্যাদাপূর্ণ কোনও উপায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা।

মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty in India )...

ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাই কি সব থেকে কম যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সেরা উপায়? বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখুক কেন্দ্র। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি অ্যাটর্নি জেনারেল বেঙ্কটরামানিকে এমনই পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এই মর্মেই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, মৃত্যুর মধ্যে যেন মর্যাদা থাকে, যতটা সম্ভব কম বেদনাদায়ক হতে হবে মৃত্যু। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি নিজেরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অপারগ হয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে তাঁরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দেবেন, যেখানে রাখা হতে পারে এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিজ্ঞানীদের।

আরও পড়ুুন: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

এ প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ফাঁসিতে মৃত্যুর (Death Penalty in India) প্রভাব, কতটা পরিমাণ ব্যথা হয়, মৃত্যু হতে কতক্ষণ সময় লাগে -এই সব বিষয়ে আমাদের কাছে সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরুন। আজ বিজ্ঞান যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুই কি সব থেকে কম যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর পন্থা না কি এর থেকে কম যন্ত্রণার মৃত্যুও সম্ভব, যেখানে পূর্ণ মাত্রায় মর্যাদা রক্ষার দিকটি সুরক্ষিত থাকবে? জানান আমাদের।

প্রসঙ্গত, এই মামলায় দোষী সুন্দররাজন সাত বছর বয়সি এক শিশুকে অপহরণ করে খুন করেছিল। সেই মামলায় ২০০৯ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। ২০১৩ সালে শীর্ষ আদালতে ফাঁসির মকুবের আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিল সুন্দররাজন। তবে ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছিল উচ্চ আদালত। এর পাশাপাশি জেলে সুন্দররাজনের আচরণ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করতে বলেছিল আদালত। এই মর্মে কাম্মাপুরম থানার উদ্দেশে একটি নোটিশও জারি করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে নতুন করে সুন্দররাজনের রিভিউ পিটিশন শোনে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলার শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট দেখে, ২০০৯ সালের ঘটনার আগে দোষীর কোনও অপরাধমূলক (Death Penalty in India) কর্মকাণ্ডের রেকর্ড নেই। এই আবহে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই দোষীর সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

 

Tags:

Supreme court

bangla news

Bengali news

D Y Chandrachud

Death Penalty in India


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর