img

Follow us on

Sunday, Jan 19, 2025

Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

মন্দিরের স্বপক্ষে ক্রমেই মিলছে জোরালো প্রমাণ...

img

জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরানো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! ফাইল ছবি

  2022-05-21 14:54:14

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বাংসাবশেষ। ঘণ্টার মতো হিন্দু (hindu) মোটিফও মিলেছে। বেসমেন্টের স্তম্ভে কলস, ফুল ও ত্রিশূল দৃশ্যমান ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিডিওগ্রাফির সমীক্ষার দুটি প্রতিবেদনে।

বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের (kashi Viswanath temple) একাংশ ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশেই তা হয়েছিল বলে ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকার অনূদিত একটি বইয়ে দাবি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মসজিদ কমপ্লেক্সে ঘণ্টা, ফুল, কলস ও ত্রিশূলের খবর প্রকাশ্যে আসায় স্বভাবতই খুশি হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন।

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তার পরেই আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে শুরু হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ। প্রথমে মসজিদের ভিতরে ভিডিওগ্রাফিতে আপত্তি জানায় মন্দির কর্তৃপক্ষ। পরে আদালতের নির্দেশে শুরু হয় তিনদিন ব্যাপী সমীক্ষার কাজ। সমীক্ষার কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য আইনজীবী অজয় কুমার মিশ্রকে অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ করে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। পরে অবশ্য তথ্য ফাঁসের অভিযোগে কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর ফের তিনদিন ধরে সমীক্ষার কাজ চলে মসজিদের ভিতরে। অতিরিক্ত তথ্য ও নথি রেকর্ডে আনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈন। তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট কমিশনের দায়ের করা রিপোর্টের পরে এটা স্পষ্ট যে বিতর্কিত কাঠামোর মধ্যে হিন্দুধর্মীয় চরিত্র রয়েছে। তিনি বলেন, একটি ধর্মীয় স্থানকে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের জোরপূর্বক দখল নেওয়ায় বদলে যায় না সম্পত্তির প্রকৃতি ও বিদ্যমান দেবতার মালিকানার অধিকার।

আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

আইনজীবী অজয় কুমার দাবি করেছিলেন, ব্যারিকেডের বাইরে উত্তর ও পশ্চিম দেওয়ালের কোণে পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ও দেবতার কাঠামো পাওয়া গিয়েছে। একটি ফলকে শেষনাগের নকশা ছিল। দেখা গিয়েছিল পদ্মও। তিনি বলেন, আমার কাজের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে সেটি বিবেচনা করা বা না করা আদালতের ব্যাপার।

সম্প্রতি সহকারি অ্যাডভোকেট কমিশনার অজয় প্রতাপ সিংয়ের উপস্থিতিতে বিশেষ আইনজীবী কমিশনার বিশাল সিং একটি রিপোর্ট জমা দেন আদালতে। লিখিত প্রতিবেদনের পাশাপাশি তিনটি সিল করা বাক্সে প্রমাণ হিসেবে তিনদিন ধরে চলা সমীক্ষার ভিডিও রেকর্ডিংও জমা দিয়েছেন তিনি। বিশাল জানান, প্রতিবেদনটি জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরের এলাকা নিয়ে।

আরও পড়ুন : শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

এদিকে সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এসএম ইয়াসিন। তিনি বলেন, প্রতিবেদনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় জ্ঞানবাপী মসজিদ ও কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টেরও এদিকে নজর দেওয়া উচিত। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

আরও পড়ুন : অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বিবাদের নিষ্পত্তি একসঙ্গে করা উচিত ছিল, মত উমা ভারতীর

 

Tags:

Supreme court

national news

Gyanvapi mosque

Kashi Viswanath Temple

Gyanvapi mosque case

mosjid-temple controversy   


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর