Emergency Period: ‘মায়ের মৃত্যুতেও, জামিন মেলেনি’, কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ রাজনাথের
রাজনাথ সিং।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরী অবস্থার কথা স্মরণ করে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানিয়েছেন, মা যখন অসুস্থ ছিলেন তখন প্যারোলেও ছাড়া হয়নি তাঁকে। মায়ের শেষ যাত্রাতেও অংশ নিতে দেয়নি তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। আর এখন তারাই স্বৈরাচারের কথা বলছে, বলে কটাক্ষ করেন রাজনাথ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার তাঁকে জেলে ভরে দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, "যারা জরুরী অবস্থার সময় একনায়কতন্ত্র জারি করেছিলেন, তারাই এখন আমাদের বলছে আমরা নাকি একনায়ক।" রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় আমি জেলে ছিলাম। আমরা বিক্ষোভ দেখাতাম, সাধারণ মানু্ষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করতাম যে ইমার্জেন্সি কতটা ভয়ঙ্কর এবং তা স্বৈরাচারী মনোভাবকেই তুলে ধরে।” তিনি আরও বলেন, “আমার সদ্য বিয়ে হয়েছিল। সারা দিন কাজ করার পর আমি বাড়ি ফিরেছিলাম, আমায় তখন বলল, পুলিশ এসেছিল। আমায় ওয়ারেন্ট দেওয়া হল। মাঝরাতে আমায় গ্রেফতার করল, জেলে নিয়ে গেল। আমায় একা একটা কুঠুরিতে রাখা হয়েছিল।”
#WATCH | ''I was not given parole to attend my mother's last rites during the Emergency, and now Congress call us dictators," Defence Minister Rajnath Singh reveals the untold story of the 1975 Emergency. pic.twitter.com/cvgoQ0KMoi
— ANI (@ANI) April 11, 2024
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Rajnath Singh) জানান সেই সময় জেলে কোনও বই পড়তে দিত না। একটা পাত্রে ডাল দিত। আর কয়েকটা চাপাটি দেওয়া হতো। কিছু সময়ের জন্য় জেল চত্বরে যেতে দিত। হেসে হেসেই তিনি বলেন, “আমার হয়তো ভাল মেজাজ ছিল, তাই আমায় জেলে দীর্ঘদিন রাখা হয়েছিল। যখন আমায় মির্জাপুর জেল থেকে নৈনি সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন আমার মা বলেছিল, যাই-ই হোক না কেন, ক্ষমা চাইবে না। শুনে উপস্থিত পুলিশকর্মীরাও কেঁদে ফেলেছিলেন।” রাজনাথ জানান, জরুরী অবস্থা আরও একবছর বৃদ্ধি করা হয়েছে এটা শুনে তাঁর মা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২৭ দিন মাকে হাসপাতালে রাখতে হয়েছিল। পরে মারা যান তিনি। তাঁর কথায়, "আমি তারপরও জেল থেকে ছাড়া পাইনি, প্যারোল পাইনি। আমি জেলেই মুণ্ডন করেছিলাম। আমি যেতে না পারায়, আমার ভাই শেষকৃত্য করেছিল…ভাবুন এরপরও ওরা (কংগ্রেস) আমাদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার, একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ আনে। নিজেদের দিকে দেখে না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।