সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে,দুবাই থেকে আনা ২২ ক্যারেট সোনা ভারতে ২৪ ক্যারেটের দামে বিক্রি হয়...
প্রতীক চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবাই থেকে ভারতে সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ল তিন ব্যক্তি। মঙ্গলবার দিল্লী বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে দুবাই থেকে ৭ কেজি সোনা নিয়ে ভারতে এসেছিল ওই ব্যক্তি। কাস্টমস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত সেই সোনার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। সোনার পাউডার বানিয়ে তা পেস্টের মতো পদার্থে রুপান্তর করেছিল পাচারকারীরা। এই পাউডারকে পাতলা পাউচে ভরে প্যাক করা হয়েছিল এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও হাতের ব্যাগে তা লুকানো হয়েছিল। কাস্টমস গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাদের বডি সার্চ করার সময় মোট ২১ টি প্যাকেট উদ্ধার করে। কিছু প্যাকেট শরীরের নীচে পড়া বডি শেপারে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
অভিযুক্তরা ২৭ অক্টোবর দুবাইয়ের শারজাহ এয়ারপোর্ট থেকে G9 463 এয়ারবাস ধরে দিল্লীর ইন্দিরা গান্ধী এয়ারপোর্টের ৩-এ টার্মিনালে এসে পৌছানোর পরেই কাস্টমসের অফিসারেরা পূর্ব তথ্য অনুযায়ী তাদের আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে সোনা বাজেয়াপ্ত করার পরেই কাস্টমস অফিসাররা তাদের গ্রেফতার করে। তবে এয়ারপোর্ট কতৃপক্ষ দোষীদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দুবাই থেকে সোনা কিনলে প্রতি ১০ গ্রামে প্রায় ৬ হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে। তাই বিপুল মুনাফা থাকায় প্রচুর মানুষ দুবাই থেকে ভারতে সোনা পাচারের চেষ্টা করে। বিশ্বের সবচেয়ে খাটি সোনা দুবাইতেই মেলে। দুবাই থেকে আনা ২২ ক্যারেট সোনা ভারতে ২৪ ক্যারেটের দামে বিক্রি হয়। কাস্টমস তরফে জানা গিয়েছিল বেশীরভাগ দুবাইয়ে কাজের জন্য যাওয়া শ্রমিকরা ভারতে আসবার সময় পাচারের চেষ্টা করে।
কাস্টমস সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমান কলকাতা বিমানবন্দরকে সোনা পাচারের ট্রানসিট রুট হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
চলতি বছরেরই ৯ মে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদশী এক ব্যক্তির শার্ট ও ফুল প্যান্টের মধ্যে সোনা পেস্ট করে লুকিয়ে আনতেই ধরা পড়ে কাস্টমসের হাতে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী এক ব্যক্তি অন্তর্বাসের মধ্যে ৬০ লক্ষ টাকার সোনা পাচার করছিল, সেই সোনা ধরা পড়ে কাস্টমাসের হাতে। কখনও সোনার পেস্ট, কখনও সোনার বার, কখনও সোনার বিস্কুট শহর থেকে লাগাতার উদ্ধার হচ্ছে।