Khalistani: 'খালিস্তান জিন্দাবাদ' জলছাপ দেওয়া পোস্ট ভাইরাল, দিল্লিতে সিআরপিএফ স্কুলের সামনে বিস্ফোরণের তদন্তে নয়া মোড়...
দিল্লির বিস্ফোরণকে ‘ডায়রেকশনাল ব্লাস্ট’ বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে সিআরপিএফ স্কুলের সামনে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) তদন্তে নয়া মোড়। ঘটনায় খালিস্তানি যোগ নিয়ে ক্রমশই ঘনাচ্ছে রহস্য, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। বিস্ফোরণের কারণ জানতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা একত্রিত তদন্ত চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, খালিস্তান (Khalistani) ইস্যুতে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে একাধিক বিমান বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার উড়ো হুমকিও এসেছে। দিল্লির বিস্ফোরণে (Delhi Blast) খালিস্তানি যোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, দিল্লির বিস্ফোরণের পরই সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দাবি করা হয়েছে খালিস্তানিদের (Khalistani) বিরুদ্ধে ভারতীয় এজেন্টদের অপারেশনের প্রতিশোধ নিতে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্টে 'খালিস্তান জিন্দাবাদ' জলছাপ রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘যদি ভারতের এজেন্সি মনে করে যে তারা গুন্ডা পাঠিয়ে আমাদের সদস্যদের চুপ করাতে পারবে, তাহলে তারা মূর্খের জগতে বাস করছে। আমরা যে কোনও সময় হামলা চালাতে পারি।’’
প্রসঙ্গত, দিল্লির বিস্ফোরণকে (Delhi Blast) ‘ডায়রেকশনাল ব্লাস্ট’ বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। অর্থাৎ বিস্ফোরণের প্রভাব যাতে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, সেই কৌশলই ব্যবহার করেছে আততায়ীরা। বিস্ফোরণের আওয়াজ ২ কিমি দূর থেকেও শোনা গিয়েছে বলে খবর। তদন্তকারীদের মতে, বিস্ফোরকে ‘রিফ্লেকটিভ প্রেসারের’ মাধ্যমে বিশাল এলাকা জুড়ে কম্পন সৃষ্টির কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল। এতে কঠিন এবং তরল পদার্থের মধ্যে উচ্চচাপ সৃষ্টি করে গ্যাসে পরিণত করা হয়। বিস্ফোরণের পর সেই গ্যাস খুব জলদি আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরেই শক্তিশালী একটি কম্পন অনুভূত হয়।
দিল্লির রোহিনী জেলার প্রশান্ত বিহার এলাকায় অবস্থিত সিআরপিএফ-এর এক স্কুলের কাছে এই বিস্ফোরণ ঘটে রবিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ব্লাস্টের পরেই বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকানঘরের দেওয়াল এবং গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। পাশাপাশি সিআরপিএফ স্কুলের দেওয়ালেও ফাটল ধরে যায়। ইতিমধ্যেই বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ। বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ), সিআরপিএফ, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) এবং ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)। কে বা কারা ওই বিস্ফোরক রেখেছিল, তাদের শনাক্ত করতে বিস্ফোরণস্থলের আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর দিল্লি পুলিশের রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।