একিউআই পঞ্চাশের গণ্ডি পার হলেই বিপদ...
দিল্লি দূষণের চেনা ছবি। ইন্ডিয়া গেটের সামনে।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিচারে চলছে অরণ্য নিধন। তার জেরে নিত্য বিষিয়ে যাচ্ছে বায়ু (Air Pollution)। কলকারখানার বিষবাষ্পও মিশছে এর সঙ্গে। তাই বাতাস হচ্ছে ভারী। বাতাসে মিশে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিকের গভীর প্রভাব পড়ছে শরীরে। জানা গিয়েছে, বিশ্বের সব চেয়ে দূষিত শহরগুলি তালিকায় ঠাঁই হয়েছে দিল্লি, মুম্বই ও কলকাতার। রবিবার প্রকাশিত হয় বিশ্বের সব চেয়ে দূষিত শহরগুলির তালিকা। সেখানেই দেখা গিয়েছে, তালিকার শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। তিন নম্বরে রয়েছে কলকাতা। আর ছ’ নম্বর জায়গা দখল করেছে বাণিজ্যনগরী মুম্বই।
সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ারের তরফে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, আজ, ৫ নভেম্বর বিশ্বের সব থেকে দূষিত (Air Pollution) শহর দিল্লি। এখানে বাতাসের একিউআই হল ৪৮৩। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। এখানে বাতাসের একিউআই ২০৬। ওই তালিকায় ঢাকা ও করাচির জায়গা হয়েছে যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে। ষষ্ঠ স্থানে ঠাঁই হয়েছে বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের। এখানে বাতাসের একিউআই ১৬২। এর পরে রয়েছে চিনের বেশ কয়েকটি শহর ও কুয়েত সিটি।
জানা গিয়েছে, একিউআই ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে হলে, তা শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। তবে পঞ্চাশের গণ্ডি পার হলেই বিপদ। ৪০০ থেকে ৫০০ হলে তো কথাই নেই। দিল্লির বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, তাঁদের চোখ জ্বালা করছে, গলা চুলকোচ্ছে। কারও কারও আবার শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। ফি বার শীতের সময় দিল্লির বাতাসে বাড়ে একিউআইয়ের (Air Pollution) পরিমাণ। এর প্রধান কারণ হল, নগরায়ন। বাড়ছে দিল্লির পরিসর। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যাও। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে আসা ধোঁয়া। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় ফসল কেটে নেওয়ার পর গাছের গোড়া পোড়াতে জমিতে লাগানো হয় আগুন। একরের পর একর জমিতে লাগানো ওই আগুনের ধোঁয়া এসে মেশে দিল্লির বাতাসে। তাই বাতাসে বেড়ে যায় একিউআইয়ের পরিমাণ। যার জেরে বাতাস হয়ে ওঠে ভারী। ভোগান্তির শেষ থাকে না দিল্লিবাসীর।
আরও পড়ুুন: “মহাদেবের নামেও লুট করতে ছাড়ছে না কংগ্রেস”, ছত্তিশগড়ে তোপ মোদির
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।