Delhi Police: বড়সড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ, গ্রেফতার অঙ্গ প্রতিস্থাপন র্যাকেটের মাস্টারমাইন্ড
অঙ্গ প্রতিস্থাপন র্যাকেটের পর্দাফাঁস, সংগৃহীত চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। প্রতিবছরই ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন প্রচুর বাংলাদেশি নাগরিক। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দিনের পর দিন ধরে চলছে কিডনি পাচার চক্র (Organ Transplant Racket)। এবার সেই অঙ্গ প্রতিস্থাপন র্যাকেটের পর্দাফাঁস করেই সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা।
এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তার মধ্যে আবার একজন ডাক্তারও রয়েছেন। ৫০ বছর বয়সী ওই ডাক্তার উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় একটি হাসপাতালে ১৬টিরও বেশি অপারেশন করেছেন। মূলত বাংলাদেশ থেকে এই চক্র পরিচালনা করা হত বলে জানা গিয়েছে। কারণ মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই র্যাকেটের সঙ্গে জড়িতদের বাংলাদেশ যোগ রয়েছে। প্রতি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য তারা ২৫-৩০ লক্ষ টাকা নিত। ২০১৯ সাল থেকে তারা এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা হাসপাতাল থেকে একজন ডাক্তারকে টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁকে দিয়ে কাজ চালাত। এ প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে যে, দুটি হাসপাতাল মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫টি ট্রান্সপ্লান্ট (Organ Transplant Racket) করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নথিগুলো সঠিকভাবে যাচাই করেছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশের হাসপাতাল থেকে জাল লেটারহেড তৈরি করে শুধুমাত্র ইমেল পরিবর্তন করত। এই অভিযুক্তরা ভালো করেই জানে যে তাদের ইমেল আইডি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হবে। তাই নতুন ইমেল আইডি তৈরি করা হত, যাতে কোনোভাবেই ইমেল আইডি হ্যাক হয়ে তাদের কারসাজি ধরা না পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: কর্ণাটকের নেহা হত্যাকাণ্ডে ৪৮৩ পৃষ্ঠার চার্জশিটে উল্লেখ নেই লাভ জিহাদের
এ প্রসঙ্গে অপরাধ দমন শাখার ডিসিপি অমিত গোয়েল বলেছেন, “ গত ৯ জুলাই আন্তর্জাতিক অঙ্গ প্রতিস্থাপন র্যাকেটের (Organ Transplant Racket) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই র্যাকেটের মূল মাস্টারমাইন্ড একজন বাংলাদেশি। দাতা এবং গ্রহণকারী উভয়ই বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা রাসেল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছি, যে রোগী ও দাতাদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দিত। এছাড়াও ট্রান্সপ্লান্টের সঙ্গে যুক্ত এক মহিলা ডাক্তারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।