আগে ওই শিক্ষিকা কাঁচি নিয়ে ওই শিশুটিকে তাড়া করেন।
দিল্লি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। স্কুলের দোতলা থেকে পঞ্চম শ্রেণির খুদে পড়ুয়াকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দিল্লির নগর নিগম বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। শুক্রবার দিল্লির করোলবাগে ওই ঘটনা ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। দিল্লির করোলবাগ এলাকার একটি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে ছুঁড়ে ফেলার পর আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি কার হয় হিন্দুরাও হাসপাতালে। তবে চিকিৎসার পর ওই পড়ুয়ার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে পুলিশ আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম গীতা দেশওয়াল।
স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ারা জানায়, গীতা দেশওয়াল নামে ওই শিক্ষিকা ক্লাস চলাকালীন রাগের বশে বন্দনা নামের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে স্কুলের বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলে দেন। এই ঘটনা ঘটার আগে ওই শিক্ষিকা কাঁচি নিয়ে ওই শিশুটিকে তাড়া করেন। ঘটনাটি ওই স্কুলের আর এক শিক্ষিকা রিয়ার নজরে আসলে, তিনি গীতাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও সওয়া ১১টা নাগাদ ক্লাস চলাকালীন (Delhi) হঠাৎ করেই গীতা রাগের বসে বন্দনাকে একেবারে স্কুলের দোতলার বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলে দেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছর কবে হবে জেইই মেইন, নীট? সময়সূচী প্রকাশ করল এনটিএ
শিশুটিকে যখন ওই শিক্ষিকা বারান্দা থেকে নিচে ছুড়ে ফেলে দেন, তখন অনেকেই ঘটনাস্থলে (Delhi) উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। দিল্লি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে। শিশুটি দিল্লির বড়া হিন্দুরা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি। কেন ওইভাবে শিশুটিকে মারধর করা হচ্ছিল সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আহত ছাত্রী নিজের বয়ানে জানিয়েছে শুক্রবার স্কুলে (Delhi) ওই শিক্ষিকা তাকে কাগজ কাটার কাঁচি দিয়ে আঘাত করে, মারধরও করেন। এরপর তাঁকে স্কুলের দোতলা থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,আহত পড়ুয়ার অবস্থা স্থিতিশীল। আঘাত গুরুতর হলেও পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়া আপাতত বিপদমুক্ত।
অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।