Jharkhand: জনবিন্যাস বদলের ফলে আদিবাসীরাই সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে ঝাড়খণ্ডে! তদন্তের নির্দেশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের...
ঝাড়খণ্ডে বদলে যাচ্ছে জনসংখ্যার বিন্যাস
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাঁওতাল অঞ্চলে অনুপ্রবেশকারী ও অবৈধ বাংলাদেশিদের (Demography Change) চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সে রাজ্যের (Jharkhand) হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুপ্রবেশের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট বহিরাগত আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করেছে।
Love jihad, land jihad changed demography of Jharkhand: Shri @AmitShah pic.twitter.com/VgWvXNyc5P
— Office of Amit Shah (@AmitShahOffice) July 21, 2024
জানা গিয়েছে, জামশেদপুরের এক বাসিন্দা দানিয়াল দানিশ ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) উচ্চ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেন। মামলায় তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ব্যাপকভাবে সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তারা জনবিন্যাসে বদল (Demography Change) ঘটিয়েছে। এই অঞ্চলের যাঁরা আদি বাসিন্দা সেই আদিবাসী সমাজের মানুষরা এখানে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন। প্রধানত, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, পাকুর, দুমকা, সাহেবগঞ্জ এবং দেওঘর এই ছটি জেলাতে ব্যাপকভাবে জনসংখ্যার বদল ঘটিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে স্থানীয়দের অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখীন হবে। এই সকল অনুপ্রবেশকারীরা দলিত এবং আদিবাসীদের জমি ও কেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) উচ্চ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজিত নারায়ন প্রসাদ এবং বিচারপতি অরুণ কুমার রাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এ মামলার শুনানি করছে। ৮ অগাস্ট সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে ১৯৫১ সাল থেকে ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য এবং পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার বিন্যাসের তথ্য (Demography Change), আবেদনকারীর তরফ আদালতে জমা দেওয়া হয়। সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে আদিবাসীদের জনসংখ্যার যে ব্যাপক হ্রাস হয়েছে এই অঞ্চলে তা তুলে ধরা হয় মামলাকারির তরফে। ১৯৫১ সালে এই অঞ্চলে মোট জনসংখ্যায় আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব ছিল ৪৪.৬৭ শতাংশ। ২০১১ সালে তা কমে নেমে এসেছে ২৮.০১ শতাংশে। অন্যদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা এই অঞ্চলে ছিল ১৯৫১ সালে ৯.৪৪ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমসুমারিতে তা ব্যাপকভাবে বেড়ে ২২.৭৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। এদের বড় অংশই বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বলে অভিযোগ।
এক্ষেত্রে, রাজ্য সরকারের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্যের কাছে আদালত জবাব চাইলে এই মামলায় রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি, “অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্ত করতে গিয়ে নানান অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন সহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে। যা শুনে বেঞ্চ পাল্টা ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) প্রশাসনের কাছে জানতে চায়, রাজ্যের বিশেষ কোনও শাখাকে এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না কেন। জেলা প্রশাসনের সমালোচনা করে বেঞ্চ বলে, “জেলা প্রশাসনের অস্বচ্ছ পদ্ধতি এবং কর্মদক্ষতার অভাবের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের নথিগুলোর উপর ভিত্তি করে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করলে গাফিলতি হবেই। এই ধরনের নথির উপর ভিত্তি করে অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্যের স্থায়ী নাগরিক হওয়ার চেষ্টা করে। এবং সরকারি সুবিধাগুলির ওপর কব্জা জমায়। বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের (Demography Change) সনাক্তকরণের জন্য বিশেষ শাখা ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ূন: নভেম্বরেই রাজ্যসভায় পাশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? আত্মবিশ্বাসী মোদি সরকার
সংশ্লিষ্ট জেলার ডেপুটি কমিশনারকে ইতিমধ্যে একটি হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যারা রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড বানিয়ে নিয়েছে, তাদেরও চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Tags:
Madhyom
bangla news
Bengali news
news in Bengali
Latest bangla News
demography change jharkhand high court intervenes
Jharkhand Demography
Demographic Changes In Jharkhand
Jharkhand Population Trends
Tribal Population In Jharkhand
Non Tribal Migration To Jharkhand
Religious Demography Of Jharkhand
Jharkhand Census Data
Population Shifts In Jharkhand