প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেড এবং সানোফি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামক দু’টি সংস্থাও ডেঙ্গির টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে৷
বাড়ছে ডেঙ্গি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue Virus) প্রকোপ। গরম পেরিয়ে বর্ষার শুরু থেকে পুজোর আগে পর্যন্ত বাংলাতেও প্রতি বছর ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ বছর ডেঙ্গি আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। দেশে কোভিডের পরে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মশাবাহিত এই রোগ। তাই ডেঙ্গি মোকাবিলায় বড়সড় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স। গবেষকরা বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব ডেঙ্গির ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা করতে হবে। শুধু ভারতে নয়, ডেঙ্গি রুখতে বিশ্বজুড়েই গবেষণা চলছে।
গত ৫০ বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ডেঙ্গি (Dengue Virus) মারাত্মক সংক্রামক রোগ হয়ে উঠেছে। ডেঙ্গি থেকে জটিল রোগও হচ্ছে। তাই প্লস প্যাথোজেন বিজ্ঞান পত্রিকায় ডেঙ্গি রোখার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। কোথাও মশার বংশ নাশ করার চেষ্টা চলছে, আবার কোথাও মশার জিনেই বদল ঘটানো হচ্ছে। মশার জিনে রদবদল করে অ্যান্টিবডি ঢুকিয়ে সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা কমানোর চেষ্টা করছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা। চলছে ডেঙ্গির টিকা আনার প্রচেষ্টা।
ভারতে ডেঙ্গির জন্য কোনও টিকা এখনও চালু হয়নি। টিকা এলে এবং ট্রায়াল সফল হলে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচবে, বলে ধারণা গবেষকদের। এর আগে প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেড এবং সানোফি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামক দু’টি সংস্থা ডেঙ্গির টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে। যার মধ্যে প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেড প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে। সানোফি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের টিকা ইতিমধ্যে আমেরিকায় ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য অনুমোদন পেয়েছে।
আরও পড়ুুন: অভিষেক সভা ছাড়তেই ব্যালট লুঠের চেষ্টা, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি
ডায়ারিয়া, বমি, ক্লান্তি, একেবারেই খেতে না পারা—এসব যদি একদিনও থাকে, তাহলেই ডেঙ্গির পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে ডেঙ্গি পিসিআর (Dengue Real-Time PCR Test) করান। যদি রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাহলে ধরে নিতে হবে যে আপনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। জ্বর, গায়ে যদি অ্যালার্জি বেরোয়, চোখে ব্যথা, জয়েন্ট পেইন হলেই প্রথমে ডেঙ্গি টেস্ট করান। ফেলে রাখবেন না কোনওভাবেই।
ডেঙ্গি যদি ধরা পড়ে তাহলে প্রথম ৭ দিন খুবই সাবধানে থাকতে হবে। তারপরও অন্তত ১৫ দিন নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রচুর জল খেতে হবে। বাইরের খাবার দাঁতে কাটা চলবে না। হালকা-ঘরোয়া খাবার খান। ফুলস্লিভ জামা পরতে হবে। বাড়িতে মশার ওষুধ স্প্রে করুন। কোথাও জল জমতে দেবেন না। বাড়িতে সিট্রোনেলা অয়েল ব্যবহার করতে পারলেও খুব ভাল। এর গন্ধে মশা খুবই কম আসে। বাড়ির আশপাশে জলাশয় থাকলে সেখানে গাপ্পি মাছ ছাড়তে পারেন। এই মাছ মশার লার্ভা খেয়ে নেয়। কোনও রকম কার্বোনেটেড পানীয় খাওয়া চলবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।