গত তিন থেকে চার সপ্তাহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার চিনের বিমান ওড়ানোর ঘটনা বেড়েছে। বায়ুসেনা পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের সামরিক তোড়জোড় নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সীমান্তে। ভারতের সঙ্গে চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে দুই দেশের কমান্ডার পর্যায়ে ক্রমাগত আলোচনা চলছে। তার পরেও প্রায়শই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান। এভাবেই ভারতীয় সেনা ও দেশের নিরাপত্তার উপর নজরদারি চালাচ্ছে চিন বলে অনুমান প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। সেনা সূত্রে খবর, চিনা বাহিনী বহুবার পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে।
বায়ুসেনা (IAF) সূত্রে খবর, গত তিন থেকে চার সপ্তাহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার চিনের বিমান ওড়ানোর ঘটনা বেড়েছে। বায়ুসেনা পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে। এই ঘটনা কোনওভাবেই তারা বাড়তে দেবে না বলে বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন যে, এই এলাকায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেমন রয়েছে তা দেখার উদ্দেশ্যেই এটা করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, "জে-১১ সহ চিনা ফাইটার জেটগুলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি উড়ে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে ১০ কিলোমিটার কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার (সিবিএম) লাইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এই উস্কানিগুলির একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া হিসাবে, ভারতীয় বিমান বাহিনী মিগ-২৯ এবং মিরাজ ২০০০ সহ সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধ বিমানগুলিকে উন্নত ঘাঁটিতে স্থানান্তরিত করেছে যেখান থেকে তারা কয়েক মিনিটের মধ্যে চিনা কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।"
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং
প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) সীমান্তের ওপারে চিনের হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তৎপরতা নজরে এসেছে। সেখানে ২৫টি অত্যাধুনিক জে-১১ ও জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে লালফৌজ। আগে ওই এয়ারবেসে মিগ-২১-এর মতো বিমান রাখত চিন। কিন্তু এবার আধুনিক ও জটিল যুদ্ধে সক্ষম জে-১১ এর মতো বিমান মোতায়েন চিন্তার বিষয়। তবে ভারতও ছেড়ে কথা বলবে না বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। সীমান্তের কাছে চিনা যুদ্ধবিমান দেখতে পেলেই তার যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি থাকে ভারতীয় বায়ুসেনা। আঘাত হলে তার প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে বলে দাবি বায়ুসেনার।