Maharashtra: মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে কি বিজেপির ফড়নবীশ?...
মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে হবে একনাথ শিন্ডেকে! সংগৃহীত ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ‘বিহার মডেল’ নয়। শিন্ডেসেনাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রেম শুক্ল সংবাদমধ্যমকে জানান, বিহারের মতো পরিস্থিতি নেই মহারাষ্ট্রে। তিনি বলেন (Devendra Fadnavis), “ভোটের আগেই নীতিশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু মহারাষ্ট্রে আমরা এমন কোনও কথা দিইনি।” শুক্ল বলেন, “তাছাড়া মহারাষ্ট্রে আমাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা বেশি।”
সোমবারই ‘বিহার মডেলে’র প্রসঙ্গ টেনে শিন্ডেসেনার মুখপাত্র নরেশ মাশকে বলেছিলেন, “বিহারে যেমন বিজেপি আসন সংখ্যার দিকে না তাকিয়ে নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল, তেমনই মহারাষ্ট্রেও শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত।” শিবসেনার এক নেতার দাবি, বিজেপি শিন্ডেকে জানিয়েছে যে, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন।
আজ, বুধবার দিল্লি গিয়েছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। শোনা যাচ্ছে, ফড়নবীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হবে শিন্ডেকে। এই সূত্রে শিন্ডেসেনা রাজি হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয় (Devendra Fadnavis)। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিয়ে এগোতে চাইছে পদ্ম পার্টি। সে ক্ষেত্রে প্রথমে সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে, বণ্টন করা হবে দফতর। একেবারে শেষে বেছে নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার শিন্ডে বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। বলেছি সরকার গঠনে আমাদের পক্ষ থেকে কোনও বাধা থাকবে না। মোদিজি এনডিএ-র নেতা। আমি বলেছি যে তাদের যা সিদ্ধান্ত হবে এবং যাকে তারা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মনোনীত করবেন, শিবসেনা তাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করবে।”
আরও পড়ুন: ফাটল হচ্ছে চওড়া! ফের ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক এড়াল তৃণমূল, কেন জানেন?
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ১৩২টি আসন। একনাথ শিন্ডের শিবসেনা পেয়েছে ৫৭টি আসন। অজিত পাওয়ারের এনসিপি জয়ী হয়েছে ৪১টি আসনে। ২০টি আসন গিয়েছে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের ঝুলিতে। কংগ্রেস জয়ী হয়েছে মাত্রই ১৬টি আসনে। আর ১০টি আসনে (Maharashtra) জয় পেয়েছে শরদ পাওয়ারের এনসিপি (Devendra Fadnavis)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।