ডিজিসিএ যা জানিয়েছে, অক্ষমতার কারণ দেখিয়ে কোনও ব্যক্তির যাত্রা বাতিল করা যাবে না।
ইন্ডিগো
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষভাবে সক্ষম (Person with special ability) যাত্রীদের বিমানে উঠতে বাধা দিতে পারবে না বিমান সংস্থা। পরিষ্কার জানিয়ে দিল ডিরেক্টরেট জেনারাল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)। যদি বিমান সংস্থা মনে করে, বিমান চলাকালীন যাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে, তাহলে সেক্ষেত্রে উড়ান সংস্থাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক যদি পরীক্ষা করে জানান, যাত্রী বিমানে যাত্রা করার মতো শারীরিক অবস্থায় নেই, তাহলেই একমাত্র যাত্রীকে বিমানে ওঠা থেকে আটকাতে পারবে বিমান সংস্থা। নির্দেশ ডিজিসিএ -র।
আরও পড়ুন: যাত্রী হেনস্থা, এয়ার ইন্ডিয়াকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা ডিজিসিএ-র
ডিজিসিএ যা জানিয়েছে, অক্ষমতার কারণ দেখিয়ে কোনও ব্যক্তির যাত্রা বাতিল করা যাবে না। তবে এয়ারলাইন যদি মনে করে যে, কোনও যাত্রীর মাঝ উড়ানে স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে, তাঁকে একজন চিকিত্সকের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। তিনি যাত্রী উড়ানের উপযুক্ত কিনা তা ব্যাখ্যা করবেন রিপোর্টে। সেই ভিত্তিতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ?
সম্প্রতি ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের (Indigo Airlines) কর্মীরা বিশেষভাবে সক্ষম এক কিশোরকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে রাঁচি বিমানবন্দরে বিমানে উঠতে বাধা দিয়েছিলেন। ঘটনাটি একজন সহযাত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ওই ব্যক্তি লেখেন, "ইন্ডিগোর কর্মীরা সাফ জানিয়ে দেন, ওই কিশোর বাকি যাত্রীদের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। বিমানে ওঠার আগে তাকে স্বাভাবিক হতে হবে। এই বলেই চলে যান বিমান সংস্থার কর্মীরা।" পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। সমালোচনার ঝড় ওঠে নেট পাড়ায়। আর তার পরেই আসে ডিজিসিএ -র এই নির্দেশ।
ঘটনার পরে, কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।
বিমান সংস্থাটি বিবৃতি জারি করে বলে, শিশুটি আতঙ্কে অশান্ত হয়ে পড়ে। গ্রাউন্ড স্টাফরা তার শান্ত হওয়ার জন্যে বহুক্ষণ অপেক্ষা করে। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শান্ত হয়নি সে। তাই তাকে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়া হয়।