বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানান, সংবাদ সংস্থাগুলোর থেকে কোনও খবর বা কনটেন্টের লিঙ্ক নিলে তাদেরও লাভের ভাগ দিতে হবে।
রাজীব চন্দ্রশেখর
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল মিডিয়ার কনটেন্ট (Digital India) বেচেই এতদিন লাভের মুখ দেখেছে বড় বড় কোম্পানি। বিশেষ করে গুগল, ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত খবর নিজেদের প্ল্যাটফর্মে দেখিয়ে প্রচুর লাভ করেছে কোম্পানিগুলি। তার বদলে সংবাদ সংস্থাগুলি কিছুই পায়নি। এই নিয়ে সংবাদসংস্থাগুলির সঙ্গে কোম্পানিগুলির বিরোধ বহুদিনের। এই অভিযোগ সরকারকেও জানিয়েছে সংবাদসংস্থাগুলি। বিচার করে দেখেছে কেন্দ্র। তাই এবার মিডিয়া হাউস ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর মধ্যে বিবাদ ঘোচাতে নতুন ডিজিটাল ইন্ডিয়া অ্যাক্ট (আইন) আনার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র।
বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানান, সংবাদ সংস্থাগুলোর থেকে কোনও খবর বা কনটেন্টের (Digital India) লিঙ্ক নিলে তাদেরও লাভের ভাগ দিতে হবে। বিনামূল্যে তথ্যের ব্যবহার করা যাবে না।
এদেশেরও আগে এই অভিযোগে প্রথম সরব হয়েছিল মার্কিন মিডিয়াগুলি। প্রায় তিন বছর আগে এই দাবি তুলেছিল তারা। তার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওই অভিযোগ ক্রমশ জোরালে হয়েছে। অভিযোগ করা হয়, সংবাদপত্র বা ডিজিটাল মিডিয়া (Digital India) হাউসগুলি অনেক পরিশ্রম করে তাদের কনটেন্ট তৈরি করে আর সেই কনটেন্ট বিনামূল্যে নিজেদের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিয়ে ফেসবুক, গুগলের মতো বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো। অনৈতিকভাবে প্রচুর পরিমাণ বিজ্ঞাপন হাতিয়ে নেওয়া হয়। কোটি কোটি টাকা মুনাফা হয় সংস্থাগুলির। কিন্তু ওই কনটেন্ট ‘শেয়ার’ করার জন্য গুগল ও ফেসবুক সংবাদমাধ্যমগুলিকে কোনও স্বত্ত্বভোগের মূল্য দেয় না, কিংবা তাদের বিজ্ঞাপনী আয়ের ভাগও দেয় না।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে এ বছর মুখ্য অতিথি মিশরের রাষ্ট্রপতি
করোনা অতিমারির এবং লকডাউনের জেরে (Digital India) সংবাদসংস্থাগুলির আয় অনেকটাই কমে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলি রীতিমতো লোকসানে চলছে। এই অবস্থার প্রতিকার এবং বিজ্ঞাপন জোগাড়ের ক্ষেত্রে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বা সমানাধিকার চেয়ে সংবাদমাধ্যমগুলি নিজের নিজের দেশের সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। ভারতে অন্তত ১৭টি ডিজিটাল নিউজ মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এই বিষয়টা নিয়ে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। তাই এবার সরকারের পক্ষ থেকেও নতুন ‘আইটি আইন’ আনার কথা ভাবা হচ্ছে।