প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশের পরেই...
ছবি: সংগৃহীত
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earth Quake) বিপর্যস্ত তুরস্ক (Turkey)। বিপদের দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভারত (India)। সোমের পর মঙ্গলবারও ওষুধপত্র এবং ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের উদ্ধারকারী দল। প্রবল ঠান্ডায় কার্যত প্রাণ বাজি রেখে উদ্ধার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে সে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তাদের সাহায্য করতেই ভারত থেকেও গিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। এই দলের সঙ্গেই গিয়েছে ডগ স্কোয়াডের (Dog Squad) চারটি সারমেয়। এরা হল জুলি, রোমিও, হানি এবং র্যাম্বো। শেষতক পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তুরস্কে গিয়ে উদ্ধারকাজে ‘হাত’ও লাগিয়েছে এই চার সারমেয়।
তাদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০১ জন সদস্যও। ল্যাব্রেডর প্রজাতির এই চারটি কুকুর বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। গন্ধ শুঁকে জীবন্ত মানুষ কিংবা লাশের হদিশ দিতে পারে এরা। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ওই কুকুরগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশের পরেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টিম দুটি ভাগে ভাগ হয়ে তুরস্কে পৌঁছেছে। এই দুই দলে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০১ জন সদস্য। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কমান্ডান্ট গুরুমিন্দর সিং। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন চিকিৎসক, প্যারামেডিক্স এবং চিকিৎসার যাবতীয় সরঞ্জাম।
আরও পড়ুুন: ভূমিকম্পের মধ্যেই জন্ম, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার সিরিয়ার 'বিস্ময় শিশু'
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তুরস্কের এই বিপদের দিনে তাদের প্রয়োজনীয় যাবতীয় সাহায্য করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০১১ সালে জাপানে তিনবার এবং ২০১৫ সালে নেপালে একবার প্রবল ভূমিকম্প হয়। তখনও ভারতের তরফে গিয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তুরস্কে যাওয়ার আগে প্রবল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দেশে কীভাবে কাজ করতে হয়, তার অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে গঠিত হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কাজ করতে তারা প্রথম যায় জাপানে, ২০১১ সালে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে। ২০১৪ সালে ভুটানে রিভার রেসকিউ অপারেশনেও যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
প্রসঙ্গত, সোমবার কাকভোরে আচমকাই কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চল। কম্পন অনুভূত হয় তিনবার। প্রথমবার কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৭.৮। কম্পনের জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে অসংখ্য বহুতল। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।