President on Woman Safety: ‘‘ধর্ষণের মামলা কেন ঝুলবে মাসের পর মাস?’’ নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন রাষ্ট্রপতির...
নারী সুরক্ষা নিয়ে ফের সরব রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতারা সমাজ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পান না, এবার এমনই দাবি করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন তিনি। রবিবার নয়াদিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে এবার বিচারবিভাগের কাছে তিনি প্রশ্ন করলেন, ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল ঘটনায় কেন দেরিতে বিচার পাবেন নির্যাতিতারা? কেন মামলা ঝুলে থাকবে মাসের পর মাস? (President on Woman Safety)
সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu) বলেন, ‘‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যের যে আমাদের সামাজিক জীবনে একজন অপরাধী অপরাধ করার পরও নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তাদের অপরাধের শিকার যাঁরা, তাঁরা ভয়ে রয়েছেন। যেন তাঁরাই কোনও অপরাধ করেছেন। অপরাধের শিকার হওয়া মহিলাদের অবস্থা তো আরও খারাপ। কারণ, সমাজের মানুষজনও তাঁকে সমর্থন করেন না।’’ তাঁর (President on Woman Safety) কথায়, ‘‘ধর্ষণের মতো মামলায় যখন বহু দেরিতে বিচার মেলে, তখন বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন সাধারণ মানুষ। তখন তাঁদের মনে ধারণা হয়, বিচার প্রক্রিয়া এমনই অসংবেদনশীল।’’
রাষ্ট্রপতির (Draupadi Murmu) মত, গ্রামের মানুষের কাছে বিচার বিভাগ ‘ঈশ্বরের সমান’। কারণ তাঁরা সেখানে ন্যায়বিচার খুঁজে পান। এর পরেই দ্রৌপদী বলেন, ‘‘একটা কথা আছে, ‘ভগবান কা ঘর দের হ্যায়, অন্ধের নেহি’। অর্থাৎ ভগবানের বিচারে বিলম্ব হতে পারে, কিন্তু অন্যায় হতে পারে না। এখন প্রশ্ন হল, কত বিলম্ব? বিচার পেতে কত দিন অপেক্ষা করবেন মানুষ? আমাদের এ বিষয়ে ভাবা উচিত। যত দিনে মানুষ শেষমেশ বিচার পান, তত দিনে তাঁর জীবন থেকে হাসি মুছে গিয়েছে। কেউ কেউ হয়তো বেঁচেও নেই। এ বার এই ধরনের ঘটনায় দ্রুত এবং সুষ্ঠু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা ভাবতে হবে বিচার ব্যবস্থাকে।’’
यह हमारे सामाजिक जीवन का एक दुखद पहलू है कि, कुछ मामलों में, साधन-सम्पन्न लोग अपराध करने के बाद भी निर्भीक और स्वच्छंद घूमते रहते हैं। जो लोग उनके अपराधों से पीड़ित होते हैं, वे डरे-सहमे रहते हैं, मानो उन्हीं बेचारों ने कोई अपराध कर दिया हो।
— President of India (@rashtrapatibhvn) September 1, 2024
আরজি কর কাণ্ডে আগে রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu) বলেছিলেন, “যথেষ্ট হয়েছে। ছাত্র, ডাক্তার এবং নাগরিকরা যখন কলকাতায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন অপরাধীরা অন্যত্র ঘাপটি মেরে আছে। কোন সভ্য সমাজে মেয়ে-বোনদের উপর এমন নৃশংস নির্যাতন চলতে পারে না।” বলেছিলেন, মহিলাদের (President on Woman Safety) বিরুদ্ধে এই ধরনের জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সামাজিক পরিবর্তনের আশু প্রয়োজন। এদিন তিনি এই সূত্র ধরেই বলেন, ‘‘সবার আগে বদলাতে হবে এই ‘স্থগিতাদেশের সংস্কৃতি’কে। মামলায় বারবার স্থগিতাদেশ জারি করার এই রীতি এ বার বদলানোর সময় এসেছে।’’
আরও পড়ুন: ১৫৬টি ককটেল ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র, জানেন তালিকায় কী কী?
এদিন শুধু সমালোচনাই নয়, সেই সঙ্গে বিচার ব্যবস্থায় মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হতে দেখে খুশি রাষ্ট্রপতি। প্রসঙ্গত, রবিবারের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ছিলেন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালও। এদিন সুপ্রিম কোর্টের পতাকা ও প্রতীকেরও উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি (President Draupadi Murmu)। একই সঙ্গে বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সবাইকে একজোট হয়ে তার মোকাবিলা করার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি President on Woman Safety।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।