বিদেশ থেকে আমদানির বদলে দেশে তৈরি জিনিস রফতানির কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলছে ডিআরডিও।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিক প্রযুক্তিতে সহজ হয়েছে জীবনযাত্রা। কম খরচে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির জুড়ি মেলা ভার। এই আধুনিক প্রযুক্তিরই অন্যতম উদ্ভাবন হল ড্রোন। সারা বিশ্বের কাছে ড্রোন উৎপাদনের প্রাণকেন্দ্র (drone manufacturing hub) হয়ে উঠবে ভারত। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর অ্যারে ইনোভেশন অ্যান্ড স্কিল সেন্টারে এক সেমিনারে এই দাবি করলেন ডিআরডিও-র (DRDO) চেয়ারম্যান সতীশ রেড্ডি (Satheesh Reddy)। তিনি বলেন, আকাশপথে নজরদারি থেকে শুরু করে ওষুধ বা গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রে আধুনিক ড্রোন বিশেষ সাহায্য করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) দেশীয় প্রযুক্তির উপর জোর দিয়েছেন বরাবর। তিনি বিদেশ থেকে আমদানির বদলে দেশে তৈরি জিনিস রফতানির কথা বলেছেন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলছে ডিআরডিও।
আরও পড়ুন: স্ত্রী কোনও এটিএম মেশিন নয়! বিচ্ছেদের মামলায় পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছিলেন যে, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে ড্রোন শিল্পের মাধ্যমে ১৫ হাজার কোটি টাকা আয় হবে। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার কথাও বলেন সতীশ। ডিআরডিও চেয়ারম্যান জানান, ভারতে সামরিক এবং অসামরিক বিভিন্ন কাজের জন্য নানা ধরনের ড্রোন তৈরি হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির উপর। তিনি জানান, দেশে মূলত পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরির ড্রোন রয়েছে। ন্যানো ড্রোন (২৫০ গ্রামের কম বা সমান); মাইক্রো ড্রোন (২৫০ গ্রামের বেশি এবং ২ কেজির কম বা সমান); ছোট আকারের ড্রোন (২ কেজির বেশি এবং ২৫ কেজির কম বা সমান); মাঝারি আকারের ড্রোন (২৫ কেজির বেশি এবং ১৫০ কেজির কম বা সমান) এবং বড় আকারের ড্রোন (১৫০ কেজির বেশি)।
ড্রোন প্রযুক্তিকে আরও উন্নত এবং আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। কৃষি, শিল্প, প্রতিরক্ষা, ডেলিভারি, গবেষণা, বিজ্ঞানের কাজে এখন সবসময় ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রগুলিতে বেশ কিছু ভারতীয় সংস্থা কাজ করছে। তারা ভালই ড্রোন বানাচ্ছে বলে জানান ডিআরডিও প্রধান।