Andaman and Nicobar Islands: আন্দামানে ৩৬ হাজার কোটি টাকার মাদক উদ্ধার অভিযানে পাচারকারীদের নৌকায় স্টারলিঙ্ক নেভিগেশন ডিভাইস পায় পুলিশ...
৩৬,০০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার আন্দামানে। সংগৃহীত চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দামানে (Drug Seized in Andaman) মাছ ধরার ট্রলার থেকে সম্প্রতি ছ’হাজার কেজি নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। এত বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের ঘটনা বঙ্গোপসাগরে এর আগে কখনও ঘটেনি বলে দাবি আধিকারিকদের। আন্দামান পুলিশ জানিয়েছে ওই ট্রলার থেকে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট যোগাযোগ সরঞ্জাম এবং নেভিগেশন কোঅর্ডিনেট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই জাহাজে প্রায় ৬,০০০ কিলোগ্রাম মেথামফেটামিন পাওয়া গিয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩৬ হাজার কোটি টাকা।
ক্রাইম অ্যান্ড ইকোনমিক অফেন্স পুলিশ স্টেশন (C&EO) এবং ভারতীয় উপকূল রক্ষীবাহিনীর (ICG) যৌথ অভিযানে জাহাজটি আটক করা হয়। উদ্ধার করা জাহাজে স্টারলিঙ্ক ডিভাইস এবং রাঙ্গাট ও নীল দ্বীপের জন্য সংরক্ষিত জিপিএস কোঅর্ডিনেট ছিল। স্টারলিঙ্ক হল ইলন মাস্কের স্পেসএক্স পরিচালিত সংস্থা। এটি দূরবর্তী সামুদ্রিক এলাকায় উচ্চ গতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। এই ডিভাসটিই মাদক পাচারকারীরা অবৈধ কার্যকলাপের জন্য কার্যকর করছিল বলে অনুমান পুলিশের। ওই ট্রলার থেকে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা সকলেই মায়ানমারের নাগরিক। ভারত এবং উপকূলবর্তী অন্য কয়েকটি দেশের উদ্দেশে মাদকবাহী ট্রলারটি আসছিল, বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
ওই ট্রলারের ভিতরে ছোট ছোট প্যাকেটে মাদক রাখা ছিল। এই ধরনের তিন হাজার প্যাকেট মিলেছে। প্রতি প্যাকেটে অন্তত দু’কেজি করে মাদক ভরা ছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে ‘মেথাফেটামাইন’ নামের ওই মাদকের আনুমানিক দর ৩৬ হাজার কোটি টাকা। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে এই মাদক উদ্ধার (Drug Seized in Andaman) করা হয়েছে, জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা আধিকারিক। আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে ব্যারেন দ্বীপের কাছে ঘুরছিল ট্রলারটি। তাকে সতর্ক করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। ট্রলারের গতি কমাতে বলা হয়। সতর্ক করে দেওয়া হয় স্থলভাগের আধিকারিকদেরও। তার পরে ব্যারেন দ্বীপের কাছে গিয়ে ওই ট্রলারটিকে আটক করে তল্লাশি চালায় বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় মায়ানমারের নাগরিকদের।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। তারা যৌথ ভাবে এই মাদক উদ্ধারের তদন্ত করছে। পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত, জয় ইয়ার সোয়ের অবস্থান মায়ানমার, তাইল্যান্ড এবং লাওসের সীমানার কাছের টাচিলিয়েক শহরে পাওয়া গিয়েছে। ওই জায়গাটি গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিত। মাদক পাচারের কেন্দ্র বলে পরিচিত ওই অঞ্চল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।