এনসিপি নেতা নবাব মালিক আগেই অভিযোগ করেছিলেন, 'বলিউড বাদশা'র থেকে অবৈধভাবে টাকা নেওয়ার জন্যই এই মামলা সাজিয়েছিলেন সমীর।
সমীর ওয়াংখেড়ে। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক মামলার (Drugs case) যখন স্বস্তিতে খান পরিবার তখনই বিড়ম্বনা বাড়ল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau) প্রাক্তন অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের (Sameer Wankhede)। কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)-র চোখে নির্দোষ আরিয়ান খান (Aryan Khan)। শাহরুখ (Shah Rukh Khan)-পুত্রের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি।
চার্জশিট পেশ হতেই নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। এনসিবি-র (NCB) প্রাক্তন আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দিল সরকার। সূত্রের খবর ভুয়ো মামলা সাজানোর জন্য এনসিবি-র প্রাক্তন আধিকারিক সমীরের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
গত বছর অক্টোবর মাসে মুম্বইয়ের উপকূলে প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ায় (Cordelia Cruise) এনসিবি অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সমীরই। সেখান থেকেই মাদক-যোগের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান ও তাঁর বন্ধুদের। একাধিকবার তাঁর জামিন না-মঞ্জুর করে আদালত। প্রায় এক মাস জেলে কাটিয়ে জামিনে ছাড়া পান বলিউড-বাদশার ছেলে। তার পরেও নিয়মিত এনসিবি দফতরের জিজ্ঞাসাবাদে হাজিরা দিতে হত তাঁকে। অবশেষে শুক্রবার পেশ করা চার্জশিটে এনসিবি জানিয়েছে, আরিয়ান নির্দোষ।
আরও পড়ুন: মাদক-মামলায় বেকসুর খালাস শাহরুখ পুত্র, আমেরিকার পথে আরিয়ান
সূত্রের খবর, এরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Union Home Ministry) তরফে নির্দেশ গিয়েছে অর্থ মন্ত্রকের (Ministry of Finance) কাছে। শাহরুখ-পুত্রের বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগে তদন্ত চালানোর দায়ে সমীরের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই মাদক-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ-সহ তদন্তের ভার ছিল এনসিবি মুম্বই শাখার উপরে। তার নেতৃত্বে ছিলেন সমীরই।
পরে ওই তদন্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকায় তদন্তভার চলে যায় কেন্দ্র-নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর হাতে। ভুয়ো তদন্ত, তদন্তে প্রভাব খাটানো-সহ একাধিক অভিযোগে পদ থেকে সরতে হয় সমীরকে। আরিয়ান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় এবার শাস্তির মুখে প্রাক্তন এনসিবি কর্তা।
মুম্বইয়ের এই মাদক মামলায় প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে ছিলেন সমীর। এনসিপি নেতা নবাব মালিক (Nawab Malik) আগেই অভিযোগ করেছিলেন, 'বলিউড বাদশা'র থেকে অবৈধভাবে টাকা নেওয়ার জন্যই এই মামলা সাজিয়েছেন সমীর। তাঁর বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিটেক দেখিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগও ওঠে।
এভাবে মাদক মামলার ফাঁসিয়ে দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকেই টাকা তুলতেন সমীর, বলে অভিযোগ। অনেকের দাবি, নভি মুম্বাইয়ে জাল লাইসেন্স নিয়ে বার এবং রেস্তোঁরা চালাতেন সমীর। যদিও সেই সংক্রান্ত কোনও প্রমান এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।