এটা প্রমাণিত যে শিবসেনার অন্দরে বিভেদ তৈরি হয়েছে...
একনাথ শিন্ডে ও উদ্ধব ঠাকরে। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharastra) পতন হয়েছে উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) সরকারের। ক্ষমতায় এসেছে একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) সরকার। দু পক্ষই আসল শিবসেনা বলে দাবি করেছে। শিবসেনার রাশ কার হাতে থাকবে তা প্রমাণ করতে উদ্ধব ঠাকরে ও একনাথ শিন্ডেকে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। ৮ আগস্টের মধ্যে এই তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরেই শুরু হবে শুনানি।
শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপিকে নিয়ে গড়া মহা বিকাশ আগাড়ি জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার চালানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। তা নিয়েই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে একনাথ শিন্ডের। বিরোধের জল এতদূর গড়ায় যে পরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাটের সুরাট ও পরে আসামের গুয়াহাটিতে পৌঁছে যান শিন্ডে। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন শিন্ডে। পতন হয় ঠাকরে মন্ত্রিসভার।
আরও পড়ুন : বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে মোদির সঙ্গে কথা বলেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে নিজে!
এর পরেই শিন্ডে শিবির দাবি করে তারাই আসল শিবসেনা। এদিকে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও জানান, তাঁর বাবার তৈরি দলের নাম বা প্রতীক ব্যবহারের অধিকার অন্য কারও নেই। শিবসেনার রাশ নিজের হাতে রাখতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন ঠাকরে। পাল্টা চিঠি লিখে শিন্ডেও জানান, বিধানসভায় শিবসেনার ৫৬ জন বিধায়কের মধ্যে ৪০ জনেরই সমর্থন রয়েছে তাঁর দিকে। লোকসভার ১৮ জন সাংসদের ১২ জনও তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন বলেও দাবি করেন শিন্ডে।
আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট
দু পক্ষের এই দাবি ও পাল্টা দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, দুই শিবিরকেই ৮ আগস্টের মধ্যে তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে লিখিত বিবৃতি দিয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে দলের অন্দরে এই যে বিবাদ, যার জেরে ৪০ বিধায়ককে নিয়ে শিন্ডের আলাদা হয়ে যাওয়া এবং বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করা নিয়ে তাঁদের কী মতামত রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তরফে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, এটা প্রমাণিত যে শিবসেনার অন্দরে বিভেদ তৈরি হয়েছে। একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন একনাথ শিন্ডে, অন্য অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। দুই অংশেরই দাবি, তারাই আসল শিবসেনা এবং তাদের নেতা দলের সভাপতি। দুই বিরোধী গোষ্ঠীর দাবিকে সমান গুরুত্ব দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করতে দু পক্ষকেই লিখিত বিবরণ দিতে বলা হয়েছে।