কমিশনের যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা
প্রতীকী চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় দফায় ২৬শে এপ্রিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট হয়েছিল। কত শতাংশ নির্বাচক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন সে সংক্রান্ত তথ্য মঙ্গলবার প্রকাশ করল ভারতের নির্বাচন কমিশন (ECI)। কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৬৬ শতাংশ নির্বাচক ভোটদান করেছেন।
কমিশনের (ECI) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রথম পর্বে ১৯ এপ্রিল ৬৬.১৪ শতাংশ নির্বাচক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ২৬শে এপ্রিল দ্বিতীয় পর্বে ৬৬.৭১ শতাংশ নির্বাচক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তালিকায় দেখা যাচ্ছে প্রথম পর্বে ৬৬.২২ শতাংশ পুরুষ ভোটার ৬৬.০৭ শতাংশ মহিলা ভোটার এবং ৩১.৩২ শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৬.৯৯ শতাংশ পুরুষ ৬৬.৪২ শতাংশ মহিলা এবং ২৩.৮৬ শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গের (Third Gender) ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রসঙ্গত ৫৪৩ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে প্রথম দফায় ১০২ টি এবং দ্বিতীয় দফায় ৮৮ টি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়। এরপর ৭, ১৩, ২৫ মে ও ১ জুন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচন হবে এবং ৪ জুন নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে।
আরও খবর: তৃতীয় দফায় কী প্রচার করবেন, কৌশল বাতলে এনডিএ প্রার্থীদের চিঠি মোদির
মনে করা হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তজুড়ে তীব্র দাবদাহের কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ইলেকশন কমিশন (ECI) যতটা আশা করেছিল তার থেকে অনেকটাই কম ভোট পড়েছে এবারে নির্বাচনের প্রথম দুই দফায়। কমিশন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রচারে ভোটারদের ভোটদানের উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ঠান্ডা পানীয় ও আইসক্রিম খাওয়ানো হচ্ছে। তা সত্ত্বেও প্রথম দুই দফায় ২০১৯ এর লোকসভায় তুলনায় অনেকটাই কম ভোট পড়েছে।
#LokSabhaElections2024 | ECI publishes Voter turnout data for Phase 1 and Phase 2 - Voter turnout of 66.14% in phase 1 and 66.71% in phase 2 pic.twitter.com/E2E7WZWQnP
— ANI (@ANI) April 30, 2024
এবার ক্ষমতায় এলে হ্যাটট্রিক করবে মোদি সরকার। অকংগ্রেসি দল হিসেবে তিনবার টানা ক্ষমতায় আসা মোদি সরকারের জন্য রেকর্ড হবে। কিন্তু কম ভোট দান বিজেপিকেও চিন্তায় ফেলেছে। তবে চিন্তায় রয়েছে বিরোধীরাও। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত বিজেপি জিতবে তাই ভোট নষ্ট করে লাভ নেই একথা ভেবে বিরোধী দলের ভোটাররা এগিয়ে আসছেন না। এটা হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কম ভোটদানে বিরোধীদের বাড়তি সুবিধা হবে এমনটা মনে করা ঠিক হবে না বলেই মনে করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার মতে, “এখন অবধি যা ট্রেন্ড তাতে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী রয়েছে দলের উচ্চ নেতৃতে। কম ভোট হচ্ছে এর মানে এটাও হতে পারে যে যারা বিরোধীদের ভোট দিতে চাইছে তাঁরা ভোটদান থেকে বিরত থাকছে। গরমও একটা কারণ হতে পারে। আমাদের দলের কর্মীরা ভোটদানের উদ্বুদ্ধ করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের ভোটাররা ভোট দিতে আসছেন এটুকু বলতে পারি।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।