কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজুকে এই সংক্রান্ত একটি চিঠিও দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক দলের তহবিলে মোটা অঙ্কের অনুদান দিতে গেলে এবার থেকে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়মাবলী। নির্বাচনের সময় কালো টাকার রমরমা রুখতে এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India। এই মর্মে কমিশনের তরফে সরকারের কাছে একটি সুপারিশ পত্রও পাঠানো হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, সোমবার আইন মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ওই চিঠিতে, বলা হয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে দলীয় তহবিলের জন্য ২০০০ টাকা বা তার বেশি অনুদান নেওয়া যাবে না। বর্তমানে সেই সীমা রয়েছে ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও বলা হয়েছে, নগদ অনুদানের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির পাওয়া পুরো অনুদানের সর্বাধিক ২০ শতাংশ অথবা ২০ কোটির কম হতে হবে। এর জন্য একটি সীমারেখা নির্ধারিত করার কথা বলেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: অবশেষে এনআইএ-এর জালে মাওবাদী নেতা সম্রাট চক্রবর্তী, জানেন কীভাবে?
প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, কারা দলের তহবিলে অনুদান দিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের নাম জানাতে বাধ্য। কিন্তু এই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল কোনও ব্যক্তি যদি ২০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতেন, তাঁর ক্ষেত্রে। কিন্তু এখন কমিশন সেই ঊর্ধ্বসীমা কমিয়ে আনতে চাইছে। কোনও ব্যক্তি যদি ২ হাজার টাকার বেশি অনুদান দেন, এবার থেকে তাঁর নাম বা সংস্থার নাম-ঠিকানা সংক্রান্ত বিশদ তথ্য রাজনৈতিক দলগুলিকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: বায়ুসেনার ‘প্রোজেক্ট চিতা’! ভারতেই হবে ইজরায়েলি ‘হেরন’-কে মারণ ক্ষমতা দেওয়ার কাজ
এই নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজুকে (Law Minister Kiren Rijiju) একটি চিঠিও দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করতে পারে সরকার। তাই এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। কোথায় কোথায় সংশোধন করা যেতে পারে, সেই সব বিষয়ই উল্লেখ করা হয়েছে সুপারিশপত্রে। নির্বাচনের সময় কালো টাকার প্রভাব কমাতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে কমিশন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।