এনএসই-র কর্মীদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ...
চিত্রা রামকৃষ্ণা। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার প্রাক্তন ন্যাশনেল স্টক এক্সচেঞ্জ সংক্ষেপে এনএসই (NSE) প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণা (Chitra Ramkrishna)। কো-লোকেশন কেলেঙ্কারি (Co Location Scam) মামলায় বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি(ED)। এদিনই তাঁকে তোলা হয় সিবিআই (CBI) আদালতে।
অনৈতিক উপায়ে এনএসই-র কর্মীদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ রয়েছে চিত্রার বিরুদ্ধে। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এনএসই কর্মীদের ফোনে তিনি আড়ি পেতেছিলেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে এই ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগে নতুন করে মামলা দায়ের করে সিবিআই। নয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, আইসেক সার্ভিসেস নামক সংস্থাকে অনৈতিক উপায়ে এনএসই কর্মীদের ওপর নজরদারি, ফোন ট্যাপিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন চিত্রা।
আরও পড়ুন : ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগে প্রাক্তন পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে শুরু সিবিআই তদন্ত
কেবল চিত্রা নন, এই ঘটনায় মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। চিত্রার বিরুদ্ধে আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে। হিমালয়ের এক যোগীকে মেইল পাঠিয়ে এনএসইর পরবর্তী পাঁচ বছরের ফাইনান্সিয়াল প্রোজকশন, ডিভিডেন্ড পে-আউট রেসিও, বিজনেস প্ল্যান, বোর্ড মিটিংয়ের টার্গেট লক্ষ্য সম্পর্কিত পরামর্শ নিতে বলতেন। তাঁর কাছ থেকেও পাল্টা মেইল আসত। মেইলে আসা সেই নির্দেশ মতোই কাজ করতেন চিত্র। মার্চ মাসে চিত্রাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে স্টক মার্কেটের বিপুল পরিমাণ আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। এনএসইর গোপন নানা তথ্যও বাইরে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে চিত্রার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : রুজিরা নারুলাকে চেনেন না রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কয়লাপাচার তদন্তে গোলকধাঁধায় সিবিআই-ইডি
এদিকে, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডেকে সমন পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এনএসই কো-লোকেশন মামলায় তাঁকেও ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই দিল্লিতে ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে সঞ্জয়কে। চলতি মাসের ন’ তারিখে একপ্রস্থ জেরা করেছে সিবিআই। এবার তাঁকে মুখোমুখি হতে হবে ইডির। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানান, সঞ্জয়কে প্রথমে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তিনি নিজেই সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হন। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের ১৯৮৬ সালের ব্যাচ তিনি। চাকরি থেকে অবসর নেন জুন মাসের ৩০ তারিখে।