শিল্পা-রাজের ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, কারণ জানলে অবাক হবেন...
শিল্পা শেট্টি ও রাজ কুন্দ্রা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিত্রতারকা শিল্পা শেট্টি ও তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রার প্রায় আঠানব্বই কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (ED)। আজ, বৃহস্পতিবার পিএমএলএ অ্যাক্ট ২০০২-এর অধীনে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক সম্পত্তি। এই তালিকায় রয়েছে শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রার নামে থাকা ইক্যুইটি শেয়ারও। এদিন সকালে এই পদক্ষেপ করে ইডি।
ED, Mumbai has provisionally attached immovable and movable properties worth Rs. 97.79 Crore belonging to Ripu Sudan Kundra aka Raj Kundra under the provisions of PMLA, 2002. The attached properties include Residential flat situated in Juhu presently in the name of Smt. Shilpa…
— ED (@dir_ed) April 18, 2024
বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে জুহুতে শিল্পার নামে একটি ফ্ল্যাট, পুনেতে একটি বাংলো এবং ইক্যুইটি শেয়ারও। রাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিনিয়োগের বিনিময়ে ১০ শতাংশ মাসিক রিটার্ন দেওয়ার জন্য মানুষকে প্রলোভিত করে বিপুল বিটকয়েন কেলেঙ্কারি চালিয়েছিলেন (ED)। বিটকয়েন কেস থেকে রাজ ১৫০ কোটি টাকা মুনাফা লুটেছেন বলেও অভিযোগ। বিটকয়েন হল ভার্চুয়ার মুদ্রা। এই মুদ্রার বৈশিষ্ট্য হল, যে কেউ বিশ্বের যে কোনও জায়গায় যে কোনও সময় অর্থ লেনদেন করতে পারে। ব্যাঙ্কের সাহায্য ছাড়াই এই লেনদেন করা হয়।
ED, Mumbai has provisionally attached immovable and movable properties worth Rs 97.79 Crore belonging to Ripu Sudan Kundra aka Raj Kundra under the provisions of PMLA, 2002. The attached properties include a Residential flat situated in Juhu presently in the name of Shilpa… pic.twitter.com/eOBzZA6ZSM
— ANI (@ANI) April 18, 2024
বিটকয়েন কেলেঙ্কারি মামলায় ২০১৮ সালের শুরুর দিকেই রাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। থানে ক্রাইম ব্রাঞ্চে নথিভুক্ত হওয়া মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। দু’হাজার কোটি টাকার ওই কেলেঙ্কারি মামলায় রাজ ফেঁসে যেতে পারেন বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। মহারাষ্ট্রে রাজের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল একাধিক এফআইআর। তার ভিত্তিতে পিএমএলএর অধীনে তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। রাজের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছিল, মেসার্স ভ্যারিয়েবল টেক প্রাইভেট লিমিটেড, প্রয়াত অমিত ভরদ্বাজ, অজয় ভরদ্বাজ, বিবেক ভরদ্বাজ, সিম্পি ভরদ্বাজ, মহেন্দ্র ভরদ্বাজ এবং অন্য এমএলএম এজেন্টরা ২০১৭ সালে প্রায় ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বিটকয়েন পেয়েছিলেন। মিথ্যে প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে লগ্নিকারীদের কাছ থেকে এই সব বিটকয়েন নেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুুন: ভোটার মাত্র এক জন, তাঁর ভোট নিতে দুর্গম পাহাড়ে ৩৯ কিমি ট্রেক করলেন ভোটকর্মীরা
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে তল্লাশি চালিয়ে ইডি গ্রেফতার করে সিম্পি ভরদ্বাজ, নিতিন গৌর ও নিখিল মহাজনকে। কেলেঙ্কারির মূল হোতা অজয় ভরদ্বাজ ও মহেন্দ্র ভরদ্বাজের নাগাল মেলেনি এখনও। এই কেলেঙ্কারিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজকে। এদিন বাজেয়াপ্ত করা হল রাজ-শিল্পার ৯৭.৭৯ কোটি টাকার সম্পত্তি (ED)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।