ভারতে সর্বাধিক অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এই সংস্থা থেকে।
শাওমি-র বিরুদ্ধে ইডির পদক্ষেপ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ইডির (ED) নজরে চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা শাওমি (Xiaomi)। গত এপ্রিল মাসেই বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে ভারতে সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা ৫৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি৷ গত কয়েক মাস আগে থেকেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ লেনদেন নিয়ে অভিযোগ ওঠে। ফলে এবারে এই সংস্থার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। আর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এই পদক্ষেপকেই সম্মতি দিল ‘ফেমা’ (FEMA)।
গত আট বছর ধরে ভারতের মোবাইল বাজারে বড় প্রভাব রয়েছে চিনা সংস্থা শাওমির (Xiaomi)। ২০১৪ সালে ভারতে ব্যবসা শুরু করেছিল এই চিনা সংস্থাটি। খুব কম সময়ের মধ্যেই এই সংস্থাটি ভারতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। পরে ইডি সূত্রে জানা যায়, প্রথম তিন বছরের তুলনায় পরের তিন বছরে ভারতের বাজারে তার ২০০ শতাংশ ব্যবসা বাড়িয়েছিল শাওমি (Xiaomi)। এরপরেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ২৭ এপ্রিল লঞ্চ হতে চলেছে শাওমি ১২ প্রো
আজ ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অথরিটি (FEMA)-র তরফে জানানো হয়েছে, শাওমির টাকা বাজেয়াপ্ত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডি। ওই সংস্থা যে সত্যিই আইনের বিরুদ্ধ চিনে টাকা পাঠিয়েছে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতের বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত নিয়ম নির্দেশ করে এই ফেমা। ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, চিনা সংস্থা শাওমি ভারতের বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে। অর্থাৎ এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, আইন লঙ্ঘন করে চিনে টাকা পাঠিয়েছে এই সংস্থা। ফলে সংস্থার ৫ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
এছাড়াও ইডি একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, রয়্যালটির নাম করে ওই টাকা বিদেশে পাঠানো হত। শুধু তাই নয়, বিদেশে টাকা পাঠানোর সময় ওই সংস্থা ব্যাংকেও ভুল তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। যে পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা দেশের মধ্যে সর্বাধিক ইডি দ্বারা বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরে কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিল শাওমি সংস্থা। কিন্তু হাইকোর্ট এই আবেদন খারিজ করে দেয়। আর আজ ইডির পদক্ষেপকে মান্যতাও দিল ফেমা।