Alamgir Alam: ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী আলমগিরকে তলব ইডির, কেন জানেন?...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধারের ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী আলমগির আলমকে তলব ইডির (ED)। রবিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ১৪ মে রাঁচিতে ইডির জোনাল অফিসে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
৬ মে, সোমবার আলমগিরের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের বাড়ির পরিচারক জাহাঙ্গির আলমের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ৩৭ কোটিরও বেশি টাকা। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জীব ও জাহাঙ্গিরকে। টানা বারো ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর ইডি জানিয়েছিল কেবল বিপুল পরিমাণ নগদই নয়, গোপনীয় চিঠিও উদ্ধার হয়েছে। ইডির এক প্রবীণ আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সরকারি চিঠিটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও গোপনীয়। রাজ্য (ED) সরকারের সংবেদনশীল নথি ফাঁস হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। রাঁচির বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে ওই পরিমাণ নগদ উদ্ধার করে ইডি। উদ্ধার হওয়া টাকার সিংহভাগই ৫০০ টাকার নোট। টাকা গুণতে নিয়ে আসা হয়েছিল একাধিক টাকা গোণার মেশিন। টাকার পাশাপাশি জাহাঙ্গিরের ফ্ল্যাট থেকে কিছু সোনাদানাও বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। বছর সত্তরের আলমগির ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। পাকুড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতাকেই তলব করেছে ইডি।
আরও পড়ুুন: “এই নির্বাচন রামভক্ত ও রাম-দ্রোহীদের মধ্যে একপক্ষকে বেছে নেওয়ার”, বললেন যোগী
২০২৩ সালের ৫ মে ঝাড়খণ্ড সরকারের মুখ্য সচিবকে চিঠি দেয় ইডি। পিএমএল অ্যাক্ট ২০২২ এর ধারা ৬৬ (২) এর অধীনে রুরাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশাল জোন ও পল্লী পূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কুমার রামের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়। চিঠিতে ইডি রাজ্য সরকারকে বিভাগীয় দুর্নীতি সম্পর্কে অবহিত করে এবং আইপিসি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়। ২০১৯ সালে বীরেন্দ্রর এক অধঃস্তনের বাড়ি থেকেও উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর পরিমাণ নগদ টাকা। তার পরেই ইডি পিএমএল অ্যাক্টে তদন্ত শুরু করে। পরে ইডি জানায়, পিএমএলএ তদন্তের সময় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে যানবাহন, নগদ, গয়না ও অন্যান্য অপরাধমূলক নথি উদ্ধার হয়েছিল। দুর্নীতি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই সব সম্পত্তি অর্জন করেছেন বীরেন্দ্র (ED)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।