দুই দেশের প্রেসিডেন্টই শান্তি এবং সহবত...
সংগৃহীত।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লির (New Delhi) সভাপতিত্বে সাফল্য লাভ করবে আসন্ন জি-২০ (G20) বৈঠক। একথা জানিয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট (Egyptian President) আবদেল ফতে এল সিসি। বিবৃতি জারি করে এ কথা জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এবারের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। তিনিই ছিলেন প্রধান অতিথি। বুধবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে বৈঠকও করেন। জানা গিয়েছে, সুয়েজ ক্যানাল ইকনোমিক জোনে ভারতীয় কারখানাগুলিকে জায়গা দেওয়া যায় কিনা, মিশরের তরফে তা বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ভারতকে এজন্য মাস্টারপ্ল্যান করতেও বলা হয়েছে। মিশরের তরফে ভারত থেকে আরও বেশি লগ্নি আহ্বান করা হয়েছে। লগ্নিকারীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে মিশরের তরফে।
জি ২০তে ভারতের সভাপতিত্ব চলাকালীন দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। জি ২০তে গ্লোবাল সাউথের ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবেও বলেও জানান তিনি। মিশরের প্রেসিডেন্টের আগমন ও বৈঠক নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ট্যুইট-বার্তায় বলেন, মিশরের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব গভীর। এশিয়ার সঙ্গে আফ্রিকাকে সংযুক্তকারী প্রাকৃতিক সেতু হল মিশর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রেসিডেন্ট আল সিসি ভারত ও মিশরের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে আলোচনা করেছেন। দুই দেশ সভ্যতা, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ। প্রসঙ্গত, এর আগেও দুবার ভারতে এসেছেন আল সিসি। একবার ২০১৫ সালে এবং পরের বার ২০১৬ সালে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের পর সিসিকে (Egyptian President) ঘরোয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হয় রাষ্ট্রপতি ভবনে। তাঁকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বয়ং। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিশিষ্টরা।
এদিন দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরিত হয়েছে। যুব সমাজের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের সম্প্রচারে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সাইবার সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তিও হয়েছে দুই দেশের।
আরও পড়ুুন: মার্কিন অভিযানে সোমালিয়ায় খতম ইসলামিক স্টেটের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার বিলাল
দুই দেশের তরফে জারি করা হয়েছে যৌথ বিবৃতিও। তাতে বলা হয়েছে, ভারত ও মিশর (Egyptian President) দুই দেশই বহুপাক্ষিকতা, রাষ্ট্রসংঘের চার্টারের নীতি, আন্তর্জাতিক আইন, জোট নিরপেক্ষতা এবং সমস্ত রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে আগ্রহী। দুই দেশের প্রেসিডেন্টই শান্তি এবং সহবত বজায় রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বলেও যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।