প্রবীণ আইনজীবী ফলি স্যাম নরিম্যান প্রয়াত হলেন বুধবার...
ফলি স্যাম নরিম্যান প্রয়াত হলেন বুধবার (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যুগের অবসান। প্রবীণ আইনজীবী ফলি স্যাম নরিম্যান (Fali Nariman) প্রয়াত হলেন বুধবার। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বিভিন্ন মহলে। ভারতের আইন জগতে তিনি ছিলেন অন্যতম কিংবদন্তী। এদিন দিল্লিতে নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুপ্রিম কোর্টের এই প্রবীণ আইনজীবী। জানা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী রবিশঙ্কর প্রসাদও শোকপ্রকাশ করেন নরিম্যানের মৃত্যুতে।
VIDEO | Here's what senior lawyer and BJP MP Ravi Shankar Prasad (@rsprasad) said about legal doyen Fali S Nariman, who passed away today at the age of 95.
— Press Trust of India (@PTI_News) February 21, 2024
"I had the privilege and honour to work with him in my professional and public activities. What a fine human being he was,… pic.twitter.com/fHox2wEYn5
নরিম্যানের (Fali Nariman) জন্ম হয় সাবেক বর্মার রেঙ্গুনে (অধুনা মায়ানমারের ইয়াঙ্গন)। ১৯২৯ সালের ১০ জুলাই এক পার্সি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্কুল জীবন সম্পূর্ণ করেন সিমলায়। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য আসেন মুম্বইতে। তৎকালীন বম্বের সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন আইনজীবী। তার পর মুম্বইয়ের সরকারি কলেজে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কাডজ শুরু করেন বম্বে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসাবে।
২২ বছর তিনি বম্বে হাইকোর্টে আইনজীবী (Fali Nariman) হিসাবে প্রাকটিস করেন। এরপর দিল্লিতে এসে সুপ্রিম কোর্টে যোগ দেন তিনি। সেখানেই আইনজীবী হিসাবে দীর্ঘ দিন কাজ করেন। অনেক বড় বড় মামলায় তিনি সওয়াল করেছেন। আন্তর্জাতিক আইনজীবী মহলেও তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। দেশের আইন জগতে তিনি ‘পিতামহ ভীষ্ম’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩,৮০০ মানুষের। সেই মামলায় ইউনিয়ন কার্বাইডের পক্ষে মামলা লড়েন নরিম্যান। এই মামলা লড়ার জন্য পরে অবশ্য আক্ষেপও শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে।
আইন জগতে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য নরিম্যান (Fali Nariman) পেয়েছেন একাধিক সম্মান। ১৯৯১ সালেই তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়। ২০০৭ সালে তিনি পান পদ্মবিভূষণ সম্মান। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ছিলেন। ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দেশে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিলেন তিনি। তার পরই অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দেন। দীর্ঘ সময় ভারতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির পদও অলঙ্কৃত করেছেন নরিম্যান। ১৯৯৯ সালে তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে মনোনীত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কেআর নারায়ণন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।