দেশজুড়ে এই মুহূর্তে ৭,১৭,০০০ অস্থায়ী কর্মী বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করছেন। এদের ৫৮ শতাংশই বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্থায়ী কর্মীদের জন্যে পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্প (Provident Fund) আনার পরিকল্পনা নিয়েছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO)। আগামী ৮ জুলাই এই নিয়ে একটি বৈঠকে বসবে ইপিএফও-র কেন্দ্রীয় বোর্ড। যারা এখনও অবসর নেননি বা অবসরকালীন কোনও ভাতার আওতায় পড়েন না, মূলত তাঁদের অবসরকালের জীবনকে আরও একটু নিশ্চিন্ত করতেই এই ভাবনা।
এছাড়া অস্থায়ী কর্মীদের জন্যে একটি অভিন্ন পেনশন (Universal Pension) প্রকল্পেরও সুপারিশ করেছে পেনশন রিফর্ম কমিটি। বিষয়টি নিয়ে আগের বৈঠকে পর্যালোচনা করেছে কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড। প্রস্তাবটি ইপিএফও- র কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ৮ তারিখের বৈঠকে দুটি বিষয়ই পরিস্কার হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক বলেন, "অস্থায়ী কর্মীদের অবসর জীবনকে সচ্ছল করতে পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অভিন্ন পেনশনের মতো দুটি নতুন প্রকল্প চালু করতে পারে কেন্দ্র সরকার।"
আরও পড়ুন: অসংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরি করলে নিশ্চিত করুন অবসরকালীন পেনশন
শ্রমবিধিতেও এইরকম প্রকল্পের সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে গত দেড় বছর কোনও কাজ এগোয়নি। ফের বিষয়টিতে নজর দিয়েছে কেন্দ্র।
শ্রমমন্ত্রকের অধীনস্থ ইপিএফও দুদিনের বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, এখন তার তালিকা প্রস্তুত করছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি, আর কী পরিবর্তন আসল নতুন শ্রমবিধিতে
দেশজুড়ে এই মুহূর্তে ৭,১৭,০০০ অস্থায়ী কর্মী বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করছেন। এদের ৫৮ শতাংশই বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী অভিন্ন পেনশন প্রকল্পের আওতায় অস্থায়ী কর্মী এবং স্বনিযুক্তদের আনা হবে।
সূত্রমতে, কেউ যদি কমপক্ষে ১৫ বছর কাজ করেন এবং তাঁর মোট সঞ্চিত অর্থ যদি ৫.৪ লক্ষ বা তার বেশি হয়ে থাকে তাহলে অভিন্ন পেনশন প্রকল্পের আওতায় তিনি কমপক্ষে ৩০০০ টাকা করে পাবেন।
এই মুহূর্তে এইপিএস বলে যে প্রকল্পটি আছে, তাতে কর্মীর কাছ থেকে তাঁর মোট বেতনের ১২ শতাংশ কাটা হয় ইপিএফ হিসেবে এবং ১২ শতাংশ দেয় নিয়োগ কর্তা। নিয়োগ কর্তার ১২ শতাংশ থেকে ৮.৩৩ শতাংশ জমা হয় ইপিএসে।