Cash for Query: ডিসেম্বরে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই ঠিক হয়ে যাবে তৃণমূল সাংসদের ভবিষ্যৎ!
লোকসভায় মহুয়া মৈত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পক্ষেই মত দিলেন এথিক্স কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য। মহুয়ার পক্ষে থাকলেন মাত্র চার জন সাংসদ। মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করে বুধবার খসড়া রিপোর্ট কমিটির সদস্যদের কাছে পাঠিয়েছিলেন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকার। তার পর বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির বৈঠক ডেকে ওই খসড়া রিপোর্ট নিয়ে সদস্যদের মতামত চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, রিপোর্ট অনুমোদনের পক্ষে তথা মহুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ৬ জন সদস্য। বাকি চার জন সাংসদ খসড়া রিপোর্টের বিরুদ্ধে মত জানিয়েছেন।
তাৎপূর্যপূর্ণভাবে, লোকসভা থেকে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন যে ছ'জন তাঁদের মধ্যে আছেন কংগ্রেসের এক সাংসদও রয়েছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধীদের জোটে আছে মহুয়ার দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পরিস্থিতিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে কংগ্রেস সাংসদ যে ভোট দিয়েছেন, তাতে বিরোধী জোটে প্রভাব পড়বে কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। টাকা দিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার যে অভিযোগ উঠেছে মহুয়ার বিরুদ্ধে, সেই ঘটনায় তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে ৫০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা পড়েছে। সেই সুপারিশও গৃহীত হয়েছে এথিক্স কমিটির বৈঠকে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা পাচার কাণ্ডে ১০ রাজ্যে এনআইএ অভিযান! গ্রেফতার ৪৪, বাংলা থেকে ধৃত ৩
এথিক্স কমিটির রিপোর্ট এবার পাঠানো হবে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। তিনিই পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন। নির্ধারিত হবে তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার ভবিষ্যৎ। মনে করা হচ্ছে, ডিসেম্বরে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে ওই রিপোর্ট পেশ করা হবে। স্পিকার এই প্রস্তাব পেশ করবেন সংসদের অধিবেশনে। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এথিক্স কমিটি তাদের রিপোর্টে বলেছে, ‘‘মহুয়া মৈত্র এবং দর্শন হিরানন্দানির মধ্যে যে টাকার লেনদেন হয়েছে, কেন্দ্রের উচিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করা।’’
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সমালোচনায় এবার সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত সঠিক বলে জানালেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, "দেশের নিরাপত্তার জন্য মহুয়া মৈত্র বড় ঝুঁকি । দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে, তিনি যা করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। এই রকম দেশবিরোধী কাজ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।