গত ৩০ জুন মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারের পদে ইস্তফা দেন সঞ্জয় পান্ডে।
সঞ্জয় পান্ডে
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনএসই ফোন ট্যাপিং (NSE Phone Tapping) মামলায় মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পান্ডেকে (Sanjay Pandey) গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বেআইনিভাবে এনএসইর কর্মচারীদের ফোন ট্যাপিং এবং রেকর্ড করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগে প্রাক্তন পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে শুরু সিবিআই তদন্ত
গত ৩০ জুন মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারের পদে ইস্তফা দেন সঞ্জয় পান্ডে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সঞ্জয় পান্ডে নিয়মিত এনএসই (NSE) কর্মীদের ফোন রেকর্ড করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এজন্যে তিনি মোটা টাকাও নিতেন বলে জানতে পেরেছেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, এজন্যে আইএসইসি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থার থেকে তিনি ৪.৫৪ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। বেশ কয়েকজনকে জেরা করে বিষয়টি জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সাক্ষীদের জেরা করার পরেই উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: বাইকের নম্বর হবে ২৬/১১! বেশি টাকা দেয় উদয়পুরের হত্যাকারীরা
সোমবার দিল্লি আদালতে ইডি (ED) জানায়, ১৯৯৭ সাল থেকেই এনএসইর কর্মীদের ফোন ট্যাপিং চলছিল। এই সংক্রান্ত নথি এবং তথ্যও জোগাড় হয়েছে বলেও আদলতে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। এর আগে সিবিআইয়ও ১০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি মামলায় সঞ্জয় পান্ডেসহ আরও এক পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংকে দফায় দফায় জেরা করে। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিল দেশমুখ এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত।
এনএসই-তে আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত করার সময় গোপনে ফোনে আড়িপাতার বেশ কিছু অভিযোগ পান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। তারপরেই বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জানায় ইডি। সিবিআইকেমামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফোন ট্যাপিং মামলায় সিবিআই এবং ইডি উভয়ই সঞ্জয় পান্ডের বিরুদ্ধে মামলা করে। এই মাসেই প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে দফায় দফায় জেরা করে সিবিআই।
অন্যদিকে আইএসইসি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডসহ এনএসইর প্রাক্তন এমডি রবি নারায়ণ এবং সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণার (Chitra Ramakrishna) বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে সিবিআই (CBI)। তদন্ত চালাচ্ছে ইডিও। সিবিআইয়ের দাবি, নারায়ণ এবং রামকৃষ্ণ পুরো বিষয়টির ষড়যন্ত্র করে। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জয় পান্ডে এই সংস্থাটি খুলেছিলেন বলেও জানতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করতে পারে ইডি।