img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Earthquake Himalayas: হিমালয়ে বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেশি,ভয়ংকর খবর শোনালেন বিশেষজ্ঞরা

Earthquake Himalayas: দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার-সহ একাধিক রাজ্য রাত দুটো নাগাদ পরপর দুইবার কেঁপে ওঠে

img

প্রতীকী চিত্র

  2022-11-10 17:28:41

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৫ সালের নেপালের (Nepal) সেই ভয়াবহ ভূমিকম্পের(Earthquake) স্মৃতি নিশ্চয়ই সকলেরই মনে আছে। সেই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছিল ভারতেও। সেই স্মৃতি ফের উসকে দিয়েছে মঙ্গলবার নেপালের ভূমিকম্পে।

রিখটার স্কেলে (Richter scale) কম্পনের মাত্রা ৬.৩

রিখটার স্কেলে (Richter scale) কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। আবারও এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছিল ভারতেও। দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার-সহ একাধিক রাজ্য রাত দুটো নাগাদ পরপর দুইবার কেঁপে ওঠে। বুধবার মধ্য রাতেও ভূমিকম্প হয় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। একের পর এক ভূমিকম্প হওয়ার পরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। নেপালের মতো পরিস্থিতি যাতে ভারতেও না হয়, তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।হিমালয়ে পরবর্তীতে বড়সড় ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। 

ইউরেশীয়ান প্লেটের (Eurasian plate) চাপের কারণেই ভূমিকম্প হয়

এই প্রসঙ্গে ওয়াদিয়া ইন্সটিটিউট অব হিমালয়ান জিওলজির সিনিয়র জিওগ্রাফিসিস্ট অজয় পাল সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, ভারতীয় ও ইউরেশীয়ান প্লেটের সংঘর্ষের ফলেই হিমালয়ের উৎপত্তি হয়েছিল। ভূপৃষ্টের নীচে থাকা ভারতীয় প্লেটের উপরে ক্রমাগত ইউরেশীয়ান প্লেটের চাপের কারণেই ভূমিকম্প হয়। হিমালয়ের নীচে দুই পাতের সংঘর্ষে এই ভূমিকম্প অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। গোটা হিমালয় অঞ্চলটিই ভূমিকম্প প্রবণ। ওই অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনাও সর্বদাই থাকে।

রিখটার স্কেল (Richter scale) কম্পনের মাত্রা হতে পারে ৭ বা তার বেশী 

পরবর্তী সময়ে যদি হিমালয় অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়, তবে তা অত্যন্ত শক্তিশালী হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়

সিনিয়র জিওগ্রাফিসিস্ট অজয় পাল আরও জানান, যেহেতু ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়, ভূমিকম্প আগামী মাস বা ১০০ বছর পরেও হতে পারে। তাই আগে থেকে নিজেদের প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। এতে বড় ক্ষয়ক্ষতি যেমন এড়ানো যায়, তেমনই ভূমিকম্পও দক্ষ হাতে মোকাবিলা করা যাবে।

জাপানের (Japan) পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত

পরামর্শ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলে বাড়ি এমনভাবে বানানো উচিত, যা ভূমিকম্পেও বিশেষ প্রভাবিত হবে না। জাপানেও (Japan) এই পদ্ধতিতেই বাড়ি বানানো হয়। সেই কারণেই বারবার ছোট-বড় ভূমিকম্প হলেও, জাপানে প্রাণহানি বা সম্পত্তির বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয় না। প্রত্যেক বছরই অন্তত একবার মক ড্রিল করা উচিত। যদি এই কাজগুলি করা যায়, তবে ভূমিকম্পের প্রভাব ৯৯.৯৯ শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব।

প্রসঙ্গত,বিগত ১৫০ বছরে মোট চারটি বড় ভূমিকম্প হয়েছে হিমালয়ে। ১৮৯৭ সালে শিলংয়ে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়েছিল। এরপরে ১৯০৫ সালে কাঙ্গরায়, ১৯৩৪ সালে বিহার-নেপাল সীমান্তে ও ১৯৫০ সালে অসমে কম্পন অনুভূত হয়। এছাড়া ১৯৯১ সালে উত্তরকাশীতে, ১৯৯৯ সালে চামোলি ও ২০১৫ সালে নেপালেও ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Tags:

Earthquake

Earthquake Nepal

Earthquake Himalayas

high probability of a big earthquake in the Himalayas

Eurasian plate

Richter scale


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর