তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন কলকাতার রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসের এক কর্তাও...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল পাসপোর্টকাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে! কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জেনেছেন, জাল পাসপোর্ট (Fake Passport) তৈরির একটি চক্র রয়েছে। এই চক্রই জাল পাসপোর্ট তৈরির বরাত পায়। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইও এদের বরাত দেয়।
বাংলাদেশের কোনও নাগরিকের নামে তৈরি হওয়া পাসপোর্ট চলে যায় আইএসআইয়ের হাতে। জঙ্গিরা যাতে ভায়া বাংলাদেশ ভারতে ঢুকতে পারে, তাই এমনতর ব্যবস্থা। এদের পাশাপাশি জাল পাসপোর্ট তৈরি করত জেএমবি এবং আকিসের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির স্লিপার সেলের সদস্যরাও। এই চক্রের পান্ডারা গত কয়েক মাসে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। সিবিআই জেনেছে, মূলত দুটি রুট দিয়ে ভারতে ঢোকে জাল পাসপোর্টধারী জঙ্গিরা। এক, বাংলাদেশ হয়ে হিলি সীমান্ত টপকে এবং দুই, উত্তরবঙ্গ দিয়ে।
সিবিআইয়ের দাবি, এই জাল পাসপোর্ট চক্রের শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা পর্যন্ত। গ্যাংটকের পাসপোর্ট অফিসের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফিসার গৌতম সাহাকে গ্রেফতারের পর এবার তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন কলকাতার রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসের এক কর্তাও। শনিবার দিনভর (Fake Passport) অভিযান চালিয়ে গৌতমের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল দীপু ছেত্রী নামে এক এজেন্টকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল মিডলম্যান বরুণজিৎ সিং রাঠোরকে। গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় তাকেও। জাল পাসপোর্ট তৈরি করে অনুপ্রবেশ করার মামলায় কলকাতা সহ রাজ্যের নানা প্রান্ত এবং গ্যাংটকের পাসপোর্ট অফিসের ২৫ জন কর্তা, একাধিক কর্মী ও এজেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই। কলকাতা, উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের ৫০টি জায়গায় তল্লাশি করা হয়েছে।
আরও পড়ুুন: শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণ-খুন করে মাংস ভক্ষণ! নিঠারিকাণ্ডে দুই আসামিরই ফাঁসি রদ
ভুয়ো পাসপোর্ট (Fake Passport) চক্রের জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। নেপালের একাধিক বাসিন্দার জন্মের শংসাপত্র সহ বিভিন্ন জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে তাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই জাল পাসপোর্ট তৈরির কাজে দার্জিলিংয়ের এক অফিসার যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এক এজেন্ট প্রথমে ১৮টি ও পরে আরও ৯টি পাসপোর্ট তৈরির জন্য অফিসারদের ঘুষ দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। এই ঘুষ নেওয়া আধিকারিকদের নামের তালিকাও তৈরি করছেন গোয়েন্দারা। উদ্ধার হওয়া ফোনের কললিস্ট থেকে গোয়েন্দারা জেনেছেন বিপুল অর্থ লেনদেন হয়েছে। ওই টাকা কোথায় গিয়েছে, তাও জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।