কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতি আসলে কী? জানুন বিস্তারিত
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উষ্ণায়নও। যা নিয়ে চিন্তিত আন্তর্জাতিক মহলগুলিও। বিশ্ব-উষ্ণায়নের ফলে ইতিমধ্যে গলতে শুরু করেছে মেরু প্রদেশের বরফও। আন্তর্জাতিক স্তরেও নানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবিষয়ে। চলতি বছরে ভারতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনেও একপ্রস্থ আলোচনা হয় বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। এনিয়ে শুরু হয়েছে নানা প্রয়াস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ার প্রধান কারণ হল ক্লোরোফ্লুরো কার্বন এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড। বর্ধিত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমাতে ভরসা তাই গাছ লাগানো।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতির (Carbon Credit)। কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতি হল এক টন কার্বন ডাই অক্সাইডের অথবা যে কোনও গ্রিনহাউস গ্যাসের সমান ভর। বিষয়টি সরলভাবে বোঝাতে গেলে গেলে বলতে হবে, যে পরিমাণ গাছ এক টন ভরের কার্বন ডাই-অক্সাইডকে পরিবেশ থেকে হ্রাস করতে পারে সেই পরিমাণের চারা রোপণকে কার্বন ক্রেডিট (Carbon Credit) বলে। ভারতবর্ষের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার এনিয়ে নীতিও গ্রহণ করেছে। যোগী রাজ্যে কার্বন ক্রেডিট নিয়ে বেশ উৎসাহী কৃষকরাও। কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতির মাধ্যমে অতিরিক্ত আয়ের মুখও দেখছেন যোগী রাজ্যের কৃষকরা। সেরাজ্যের কৃষকরা,নিজেদের চাষযোগ্য জমির সীমানায় গাছ লাগাচ্ছেন।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের বনমন্ত্রী অরুণ কুমার সাক্সেনার মতে, ‘‘পরিবেশ রক্ষায় এবং গ্রিন হাউস গ্যাস পরিবেশ থেকে কমানোটা কখনোই আমাদের পক্ষে সম্ভব হতো না যদি না কৃষকরা এগিয়ে আসতেন।’’ বর্তমানে যোগী সরকার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে যে সে রাজ্যের বনাঞ্চল ৯.২৩ শতাংশ তেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশে নিয়ে যাবে। যোগী সরকারের নীতি অনুযায়ী, প্রতিটি কৃষককে আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে কার্বন ক্রেডিট প্রকল্পে (Carbon Credit)। এই প্রকল্পে রোপণ করা চারাগাছগুলিকে পরিচর্যা রক্ষণাবেক্ষণ সমেত দেখভাল করবেন কৃষকরা। বর্তমানে বাজারদর বলছে ৬টি কার্বন ক্রেডিটের মূল্য হল এক ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৩ টাকা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।