সারা বিশ্বে সন্ত্রাস দমনের স্বার্থে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত ছিল, দাবি দিল্লির
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দান প্রতিরোধের জন্য নজরদারি সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকা থেকে বাদ গেল পাকিস্তান। এর ফলে ক্ষুব্ধ ভারত। ২০১৮ থেকে এই আন্তর্জাতিক সংস্থার ধূসর তালিকায় থাকার পর এ বার মুক্তি পেল প্রতিবেশী দেশ। কিন্তু দিল্লির দাবি, সন্ত্রাসের আকড়ভূমি পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদে সবরকম সাহায্য করে পাকিস্তান। তারা যে নিরন্তর আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস চালাচ্ছে তার প্রমাণ রয়েছে ভারতের কাছে। উল্লেখ্য, গত ৪ বছর ধরে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া ও জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থ যোগানের অভিযোগে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রেখেছিল এফএটিএফ। এফএটিএফ জানিয়েছে, পাকিস্তান জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থ যোগান কমিয়েছে পাশাপাশি এই সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত জটিলতাও ক্রমশ কাটিয়ে ওঠার লক্ষণ দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ডে বিপত্তি বাড়ল অনুব্রতের! আজই দিল্লিতে ইডির হাতে সায়গল
শুধু পাকিস্তানই নয়, নিকারাগুয়াও এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে এসেছে। অন্য দিকে মায়নমারের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। তারা ধূসর থেকে কালো তালিকায় পৌঁছেছে। তবে ধূসর তালিকা থেকে পাকিস্তান বেরিয়ে এলেও দিল্লির যুক্তি, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের মূল কেন্দ্র পাকিস্তান। এখনও তারা ভারত-সহ বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস ছড়ানোর মূল উৎস। সন্ত্রাসবাদে সর্বদাই পুঁজির জোগান দেয় পাকিস্তান। শুক্রবার এফএটিএফের প্রেসিডেন্ট টি রাজা কুমার বলেন, “পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও তাদের অনেক কিছুই (সন্ত্রাসবাদ দমন) করতে হবে। তবে তারা সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে। আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই জঙ্গিদের অর্থ জোগান ঠেকাতে এশিয়া-প্যাসিফিক এই সংগঠনটির সঙ্গে কাজ করুক পাকিস্তান।”
আরও পড়ুন: অরুণাচল প্রদেশে আচমকাই ভেঙে পড়ল সেনা বাহিনীর কপ্টার, শুরু উদ্ধারকাজ
সূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক ও অন্যান্য মদত বন্ধ করতে এফএটিএফ পাকিস্তানকে (Pakistan) ৩৪টি শর্ত দিয়েছিল। সেই অ্যাকশন প্ল্যানের সব ক’টি শর্তই নাকি ইসলামাবাদ পূরণ করেছে! ওই শর্তের মধ্যে ২৭টি ছিল সন্ত্রাসে আর্থিক মদত সংক্রান্ত এবং সাতটি বেআইনি অর্থ পাচারের বিষয়ে। ২৯ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান সফর করে এফএটিএফ-এর ১৫ সদস্যের একটি দল। ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইইউ, এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ (এপিজি) এবং অন্যান্যদের প্রতিনিধিরা পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন চলাকালীন রিপোর্ট জমা দেন এবং আলোচনা করেন। তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, সারা বিশ্বে সন্ত্রাস দমনের স্বার্থে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।