জেএনইউ-তে বাম দাপট অনেকটাই ফিকে...
দিল্লির জেএনইউ ক্যাম্পাস (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম কোনও নির্বাচনে জেএনইউ-তে (JNU) চ্যালেঞ্জের মুখে বাম জোট। রবিবার ভোট গণনা চলাকালীন একাধিক সংবাদমাধ্যম পূর্বাভাস দিতে শুরু করে বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার গেরুয়া হতে চলেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যালট বাক্স খুলতেই বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। প্রাথমিক ট্রেন্ডে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন এবিভিপির প্রার্থীরা। রবিবার ২৫ মার্চ গণনা শুরু হতেই লড়াইতে একেবারে ‘কাঁটে কি টক্কর’ দেখা যায়। কিন্তু, রাত ১১টার পর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা হতেই দেখা যায়, সেন্ট্রাল প্যানেলের চার আসনেই জিতেছেন বাম জোটের প্রার্থীরা। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন জেএনইউতে উল্লেখযোগ্যভাবে অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে এবিভিপির।
এত ভোট আগে কখনও পায়নি আরএসএস অনুপ্রাণিত এই ছাত্র সংগঠন। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এবিভিপি-কে রুখতে সমস্ত বাম ও অতিবাম সংগঠনগুলি নিজেদের মধ্যে জোট করে। এর ফলে বাম ভোট কোনওভাবে ভাগ হয়নি। এতকিছুর পরেও দেখা যায়, এবিভিপির প্রার্থীরা জোর টক্কর দিয়েছেন। ১৯৬৯ সালে সালে জেএনইউ (JNU) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির দাপট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে ছিল ব্যাপক। এবার প্রথম নির্বাচন যখন তাদের দাপট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল।
প্রেসিডেন্ট পদ
ধনঞ্জয় (বাম)- ৩,১০০
উমেশ চন্দ্র আজমীরা (এবিভিপি)- ২,১১৮
ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ
অভিজিৎ ঘোষ (বাম)- ২৭৬২
দীপিকা শর্মা (এবিভিপি)- ১৮৪৮
সাধারণ সম্পাদক পদ
অর্জুন আনন্দ (এবিভিপি)- ২৪১২
প্রিয়ংশী আর্য (বাপসা)- ৩৪৪০
যুগ্ম সম্পাদক পদ
গোবিন্দ ডাঙ্গি (এবিভিপি)- ২৫৯১
মহঃ সাজিদ (বাম)- ৩০৩৫
জেএনইউ-র (JNU) ছাত্র ইউনিয়নের ভোটে গত ১২ বছরে রেকর্ড ভোট পড়েছে চলতি বছরের ভোটগ্রহণে। ৭৩ শতাংশ ভোট পড়ে। ৭৭৫১ সংখ্যক ভোটার সংখ্যা নিয়ে চার পদের জন্য ভোট হয় জেএনইউয়ের ছাত্র ইউনিয়নে। শেষবার ২০১৯ সালে জেএনইউএর ভোটে ভোট পড়েছিল ৬৭.৯ শতাংশ। এমনটাই বলছে, ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ভোট বেশি পড়লে তা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতারই প্রতিফলন হয় সাধারণত। এবারেও তাই হল। উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি হল এবিভিপির।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।