গোটা বিশ্বে মোট ২৫০০টি জলাভূমি রামসার সাইটের অন্তর্ভুক্ত।
ভারতের জলাভূমি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশ সুরক্ষা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ভারত সরকার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। নতুন তথ্যে জানা গিয়েছে, ভারতের আরও পাঁচটি জলাভূমিকে রামসার সাইটে (Ramsar site) অন্তর্ভুক্ত করা হল। নতুন পাঁচটি যে জলাভূমি রামসার সাইটে যুক্ত করা হল সেগুলো হল- কারিকিলি পাখি অভয়ারণ্য (Karikili Bird Sanctuary), পল্লীকরণাই মার্শ রিজার্ভ ফরেস্ট (Pallikaranai Marsh Reserve Forest), পিচাভরম ম্যানগ্রোভ (Pichavaram Mangrove), মিজোরামের পালা জলাভূমি (Pala wetland) ও মধ্যপ্রদেশের সাখ্য সাগর (sakhya Sagar)। এই জলাভূমি গুলোকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বহুদিন চেষ্টা করছিল ভারত সরকার। অবশেষে রামসার কনভেনশনের অধীনে এই জলাভূমিগুলিকে "আন্তর্জাতিক গুরুত্ব" বলে মনে করা হল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব (Bhupender Yadav) ট্যুুইটে এই বিষয় জানিয়েছেন।
The emphasis PM Shri @narendramodi ji has put on environmental protection and conservation has led to a marked improvement in how India treats its wetlands.
— Bhupender Yadav (@byadavbjp) July 26, 2022
Delighted to inform that 5 more Indian wetlands have got Ramsar recognition as wetlands of international importance. pic.twitter.com/VZDQfiIZN8
">
আরও পড়ুন: লোহিত সাগরের তলদেশে 'ব্রাইন পুল'! যেখানে গেলেই মৃত্যু নিশ্চিত...
উল্লেখ্য, এটি জলাভূমি সংরক্ষণ এবং সুসংগত ব্যবহারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, ১৯৭১ সালে ইরানের রামসার নামে একটি শহরে জলাভূমি সংরক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে এই শব্দটি ব্যবহিত করা হয়। ভারতে আগে মোট ৪৯টি রামসার সাইট ছিল। তবে এর সংখ্যা বেড়ে হল ৫৪। গোটা বিশ্বে মোট ২৫০০টি জলাভূমি রামসার সাইটের অন্তর্ভুক্ত। ভারতের কিছু উল্লেখযোগ্য রামসার সাইটের জলাভূমি হল ওড়িশার চিলিকা হ্রদ, জম্বু কাশ্মীরের উলার হ্রদ, হিমাচল প্রদেশের রেণুকা জলাভূমি, রাজস্থানের সম্ভার হ্রদ, পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব কলকাতা জলাভূমি, গুজরাটের নাল সরোবর, পাজ্ঞাবের হরিকা, ত্রিপুরার রুদ্র সাগর, মধ্যপ্রদেশের ভোজ জলাভূমি ইত্যাদি।
গাছপালা হ্রাস, লবণাক্তকরণ , অত্যধিক বন্যা , জল দূষণ , আক্রমণাত্মক প্রজাতি , অত্যধিক উন্নয়ন এবং রাস্তা নির্মাণ , সবই দেশের জলাভূমিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যার ফলে জলাভূমিগুলো সংরক্ষণের জন্য এই চুক্তি করা হয়েছিল। এর ফলে এই জলাভূমিগুলোর আশেপাশে কোনও শিল্প তৈরি করা, নোংরা ফেলা ইত্যাদি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। এই জলাভূমি গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ এগুলো অত্যধিক বন্যা রোধ করতে, দলের জোগান দিতে ইত্যাদি ক্ষেত্রে জলাভূমির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।