অভিযুক্ত শিক্ষিকা হিনা হিন্দু মেয়েদের বোরখা পরতে বলতো
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদ (Love Jihad) এবং ধর্মান্তকরণের ঘটনা মহারাষ্ট্রে ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন দাবি তুলেছে যে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের (Love Jihad) বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনা হোক। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলা থেকে অভিযোগ এসেছে যে একটি নাবালিকাকে ৮ জন মিলে ষড়যন্ত্র করে তাকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে এবং পরবর্তীকালে তাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে প্ররোচনা দেওয়া হয়। এই প্রত্যেক অভিযুক্তকে শনাক্ত করা গেছে। ৮ অভিযুক্ত হল, আভেজ নিশার শেখ, কাইফ শেখ, সোহেল শেখ, হিনা শেখ, আলিসা শেখ, সালিম পাঠান, আলতাব শেখ, সাকির সাহেব। জানা গিয়েছে আটজন অভিযুক্তের মধ্যে পুলিশ এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে। যাদের মধ্যে দুজন মহিলা আছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪(৩), ৩৫৪ (ডি) ১০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে। পাশাপাশি পক্সো আইনের ৮ এবং ১২ নম্বর ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত মহিলা হিনা শেখ টিউশিন পড়াত। আসল উদ্দেশ্য ছিল, হিন্দু নাবালিকাদের সে প্ররোচনা দেওয়া মুসলিম ধর্মের অনুসরণ করার জন্য। জানা গিয়েছে, আহমেদনগর জেলার রাহুরির উম্রে গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এবং নির্যাতিতা নাবালিকা ইতিমধ্যে অভিযোগও দায়ের করেছে। ওই নাবালিকার মতে, সে দশম শ্রেণিতে পড়তো এবং টিউশন নিত অভিযুক্ত হিনার কাছে। ২০২১ সাল থেকে ওই নাবালিকা হিনার কাছে পড়তো বলে জানা গেছে। হিনার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হয়েছে যে মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবকদেরকে তিনি ক্লাসে ডেকে আনতেন এবং হিন্দু মেয়েদের সঙ্গেই তাদেরকে বসাতেন। আরও মারাত্মক অভিযোগ, হিনা শেখের কাছে যে মুসলিম যুবকরা আসত, তারা পড়তে আসতো না। বরং শুধু বসে থাকার জন্যই আসতো এবং হিনাও হিন্দু মেয়েদের মুসলিম ধর্ম মেনে চলার পরামর্শ দিত। শুধু তাই নয়, বোরখা পরার পরামর্শ দেওয়া হতো তাদেরকে। কপালে টিপ পরারও বিপক্ষে ছিলেন হিনা। অভিযোগ হিন্দু মেয়েদের লাভ জিহাদের (Love Jihad) ফাঁদে ফেলে তাদেরকে ধর্মান্তকরণ করে ইসলামে নিয়ে আসা হিনার মূল উদ্দেশ্য ছিল।
ওই নাবালিকার দাবি, একদিন সে যখন বাড়ি যাচ্ছিল তখন আভেজ তার পথ আটকায় এবং তাকে বলে যে সে তাকে ভালোবাসে (Love Jihad)। এবং পরবর্তীকালে সে ওই নাবালিকার ভাইয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে এবং তার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এই সময়ের মধ্যে এসে আভেজ নিশার শেখ আবারও বলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এবং পরবর্তীকালে হোয়াটসঅ্যাপে লাগাতার মেসেজও পাঠাতে থাকে অভিযুক্ত আভেজ। একদিন ওই নাবালিকাকে আভেজ পরামর্শ দেয় যে হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ করতে এবং তার সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে (Love Jihad) করতে। সে আরও বলে যে গ্রামের অনেকেই তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে জেনে গেছে এবং তার সম্প্রদায়ের অনেকেই টাকা দিয়ে তাকে সাহায্য করতে চায়। পরবর্তীকালে ওই নাবালিকা আভেজের সঙ্গে সমস্ত রকমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিন্তু এর পরেও আভেজ তাকে ইনস্টাগ্রামে মেসেজ করতে থাকে। কিন্তু সে আর কোনও উত্তর দেয় না। এই ঘটনা ২০২১ সালের। পরবর্তীকালে চলতি বছরের ২৬ জুলাই ওই একই টিউশন অপর একটি হিন্দু নাবালিকা আভেজের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। এই অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয় যে আভেজ এবং তার বোন আলিশা জোরপূর্বক তাকে বোরখা পরাতে চায় এবং মুসলিমদের মতো থাকতে বলে। শুধু তাই নয় ওই টিউশন থেকে আরও তিন থেকে চার জন হিন্দু নাবালিকা আভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে তাদেরকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে সে ধর্মান্তকরণ করতে চেয়েছে। এবং এই কাজে সম্পূর্ণভাবে জড়িত তাদের শিক্ষিকা। এই ঘটনাযটি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক প্রসাদ লাড বিধানসভায় উত্থাপন করেছেন এবং পুলিশ প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।