শুধু সিঁদুর পরানো নয় মানতে হবে বিয়ের আচার-অনুষ্ঠানও।
জোর করে কপালে সিঁদুর পরালেই বিয়ে নয়, পর্যবেক্ষণ পাটনা হাইকোর্টের।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে কোনও মেয়ের কপালে সিঁদুর পরালেই তা বিয়ে হয়ে যায় না। হিন্দু বিয়ে নিয়ে চাঞ্চল্যকর কথা বলল পাটনা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। গত ১০ নভেম্বর এক ব্যক্তির মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারপতি পিবি বাজনাথ্রি এবং বিচারপতি অরুণ কুমার ঝা তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন যে বিয়ের সময় কপালে সিঁদুর পরানো যদি স্বেচ্ছায় হয়, তবেই সেই বিয়ে বৈধ বলে গণ্য হয়।
ঘটনার শুরু আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে। ২০১৩ সালে ৩০ জুন, পেশায় সেনাবাহিনীর সিগন্যালম্যান রবি কান্ত তাঁর কাকাকে নিয়ে গিয়েছিলেন লক্ষ্মীসরাইয়ের একটি মন্দিরে। সেখানে প্রার্থনা সেরে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ কয়েকজন তাদের পথ আগলে দাঁড়ায়। কাকা সহ তাঁকে অপরহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণকারীরা রবিকে জোর করে এক মহিলার কপালে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল। এই ঘটনায় বিয়ে বাতিলের দাবিতে রবির কাকা জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরই পাশাপাশি আবেদনকারীও বিয়ে বাতিলের দাবিতে লক্ষ্মীসরাইয়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অপরহণ এবং খুনের চেষ্টা সহ একাধিক অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সওয়াল জবারের পর ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি রবির আবেদন খারিজ করে দেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
নিম্ন আদালতে মামলা খারিজ হয়ে গেলে রবি ফের পাটনা হাইকোর্টে মামলা করেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের রায়কে খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেয় জোর করে স্বেচ্ছায় কপালে সিঁদুর পরালে, বিয়ে বলে গণ্য হয় না। হাইকোর্ট জানায়, বিয়ের সময় দুই পরিবার ও পাত্র-পাত্রীর মত থাকা জরুরি। শুধু সিঁদুর পরানো নয় মানতে হবে বিয়ের আচার-অনুষ্ঠানও। পবিত্র আগুনের চারপাশে বর ও কনের সাত পাক প্রদক্ষিণ প্রয়োজন। বিহারে অপরহণ করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতি বছর বহু যুবককে অপহরণ করে বিয়ে দেওয়া হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।