“গ্লোবাল সাউথ থেকে জি২০ সদস্যদের এক ছাতারতলায় আনতে পেরেছে ভারত...”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে শেষ হয়েছে দু’ দিন ব্যাপী জি২০ (G20) শীর্ষ সম্মেলন। জি২০-এর সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত বেশ কয়েকটি দেশের সদস্যরা। গত বছর সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০-এর ব্যাটন এসেছিল ভারতের হাতে। আগামী জি২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ব্রাজিল।
নয়াদিল্লি এই প্রথমবার জি২০ সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল। সম্মেলন সফল হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্বনেতারা। এই সম্মেলনে যেসব প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা চান প্রধানমন্ত্রী। তাই নভেম্বরে ভার্চুয়াল জি২০ সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “গত দু’ দিনে আপনারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনাদের মত পোষণ করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন এবং গুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করেছেন। আমাদের দায়িত্ব হল এই সব প্রস্তাব এবং পরামর্শ কীভাবে বাস্তবায়িত করা যায় এবং কীভাবে সেগুলিতে গতি সঞ্চার করা যায়, তা দেখা।”
সারা বছর ধরে জি২০-এর সম্মেলন হয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। তার প্রশংসা শোনা গিয়েছে বিশ্বনেতাদের গলায়। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ভার্চুয়াল জি২০ সম্মেলনের প্রস্তাবে সায় দিতে পারেন তাঁরা। জি২০ সম্মেলনে প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তিনি বলেন, “সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা, তা দেখা দরকার।” ভারতের আয়োজনকে ‘মাইলস্টোন’ আখ্যা দেন তিনি। বলেন, “গ্লোবাল সাউথ থেকে প্রকৃতপক্ষে জি২০ সদস্যদের এক ছাতারতলায় আনতে পেরেছে ভারত।”
আরও পড়ুুন: ‘‘লেনিনের সঙ্গে যোগ নেই ভারতের’’, মূর্তি সরানোর সওয়াল সুকান্তর
অদূর ভবিষ্যতে তামাম বিশ্বে (PM Modi) যে বাজার তৈরি হতে চলেছে, তার ওপরই নির্ভর করবে জি২০-এর ভবিষ্যৎ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই এবার ইতালির হাতে নয়, জি২০-এর ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়েছে ব্রাজিলের ওপর। তার পরেরবার জি২০ সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। জি২০ সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব নিয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা বলেন, “ঝগড়া-বিবাদের পরিবর্তে আমরা চাই শান্তি ও সহযোগিতা।” অশান্তি যে কাম্য নয়, প্রেস কনফারেন্সে তা জানিয়ে দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁক্রও। তিনি বলেন, “জি২০ আরও একবার রাশিয়াকে একঘরে করে দিল। আজ, জি২০-এর সদস্য দেশগুলির সিংহভাগই ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে দুষছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিশ্বজনীন প্রভাব নিয়েও আলোচনা হয়েছে সম্মেলনে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।