Worlds Richest Persons List: চলতি বছরেই আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে...
গৌতম আদানি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি (Gautam Adani) পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধনী ব্যাক্তি হিসেবে উঠে এসেছেন। ২০২২ সালে এশিয়ার ধনী ব্যাক্তি হিসেবে উঠে আসার পর থেকেই প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছেন। গত সপ্তাহেই অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজসকে (Jeff Bezos) পিছনে ফেলে দিয়ে রেকর্ড করেছিলেন গৌতম আদানি। বিশ্বের ধনকুবেদের তালিকার তিন নম্বরে উঠে আসেন।
শুক্রবার একটা সময়ে ফোর্বসের রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ারের তালিকায় ১৫৫.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির অধিকারী হয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ফেলেছিলেন আদানি। তিনি ফরাসি শিল্পপতি বার্নার্ড আর্নল্টকে (Bernard Arnault) পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখন করে ফেলেন। যদিও, কিছুক্ষণ পরই তিনি ফের তৃতীয় স্থানে নেমে আসেন। দ্বিতীয় স্থানে উঠে যান আর্নল্ট। বর্তমানে আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫২.৫ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় ধনকুবের থেকে এগিয়ে আছেন শুধুমাত্র টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী বার্নার্ড আর্নল্ট।
আরও পড়ুন: এখন বিশ্বের তৃতীয়তম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানি, ধারে কাছে নেই আম্বানি!
আজ গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ সব থেকে বেড়েছে। প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩.৩% শতাংশ সম্পত্তি বৃদ্ধির উপর ভর করেই তিনি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিলেন। এই প্রথমবার কোনও ভারতীয় এই স্থানে এসে পৌঁছেছেন। অপরদিকে, টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৭৩.৫ বিলিয়ন ডলার। শুধুমাত্র আজই তাঁর পকেটে ৭৮৯ মিলিয়ন ডলার বা ০.২৮ শতাংশ অর্থ ঢুকেছে।
চলতি বছরেই আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের তালিকায় থাকা ১০ জন ধনী ব্যাক্তিদের মধ্যে কারও সম্পদ এতো বৃদ্ধি পায়নি। শুক্রবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসেই শেয়ার বাজার খুলতেই লক্ষ্মীলাভ হয় আদানির। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই রিলায়েন্সের কর্নধার মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যাক্তির শিরোপা ছিনিয়ে নেন। মুকেশ আম্বানি ফোর্বসের (Forbes) রিয়েল টাইম বিলিয়েনিয়ারদের তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছেন। তাঁর মোট অর্থের পরিমাণ ৯২ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি
আদানি গ্রুপের বন্দর পরিকাঠামো, বিদ্যুত পরিষেবা, আবাসনের মতো ক্ষেত্রে বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয় ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য আদানি গোষ্ঠী প্রয়োজনের অধিক ঋণ নিয়ে ফেলেছে। তার ফলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারে তারা। যদিও আদানি গোষ্ঠী এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে ১৫ পাতার একটি রিপোর্টে প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে, তারা কীভাবে ঋণের বোঝা কমিয়েছে। আদানি গ্রুপের স্টকগুলির অসাধারণ বৃদ্ধিতে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, খুব শীঘ্রই তিনি বার্নার্ড আর্নল্টকে ছাড়িয়ে পাকাপাকি ভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।