ওই এলাকাটিতে মুসলিমরা বাস করলেও পুজো-অর্চনা বা গণপতি আরাধনায় কারুর আপত্তি নেই।
গণপতি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে গণেশ পুজো করতে গেলে জামাতের অনুমতি পত্র থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কলোনির সকলকে নিয়ে গণেশ পুজো করতে চেয়েছিলেন কোয়েম্বাটোরের উক্কাদামের হাউজিং বোর্ড কলোনির বাসিন্দা মহালক্ষ্মী। গণেশ চতুর্থী থেকে শুরু করে চারদিন ব্যাপী পুজোর আয়োজনের কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু প্যান্ডেল করার জন্য থানা থেকে সম্মতি চাইতে গেলেই বাধে বিপত্তি। অঞ্চলটি মুসলিম প্রধান হওয়ায় থানা সম্মতি দিতে রাজি হয় না। থানা থেকে সম্মতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন মহালক্ষ্মী। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ।
আরও পড়ুন: চলতি বছরেই এফএমসিজি বাজারে আত্মপ্রকাশ রিলায়েন্স রিটেলের, ঘোষণা মুকেশ-কন্যা ইশার
মহালক্ষ্মীর আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই এলাকাটিতে মুসলিমরা বাস করলেও পুজো-অর্চনা বা গণপতি আরাধনায় কারুর আপত্তি নেই। তাঁর আবেদনে বলা হয়েছে যে, কলোনির বাসিন্দারা গণেশের মূর্তি স্থাপন করে গণেশ চতুর্থী উদযাপন করতে চান। আশেপাশের অঞ্চলে বসবাসকারী মুসলিমদের এতে কোনও সমস্যা নেই। তারা উৎসবে অংশ নিতে চান। এমনকি ভোগ বিতরণেও তাদের সম্মতি রয়েছে। এরপরে পুলিশ-প্রশাসনের আপত্তি খাটে না। তিনি আদালতকে অনুরোধ করেন, প্যান্ডেলের অনুমতি দেওয়ার জন্য পুলিশকে যেন নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কালীপুজোর সময়েই আসতে চলেছে জিও ৫জি! আগামী বছরেই সারা দেশে, জানুন কী বললেন মুকেশ আম্বানি
পুলিশের তরফে আদালতে বলা হয় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় প্যান্ডেল করে পুজো করলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। এখন না বোঝা গেলেও পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। দুপক্ষের কথা শুনে মাদ্রাজ হাইকোর্ট মহালক্ষ্মীকে গণেশ প্যান্ডেল স্থাপনের আগে স্থানীয় জামাতের সম্মতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের তরফে বলা হয়, " বিনায়ক মূর্তি স্থাপনের জন্য জামাত কমিটির অনুমতি-সহ সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হলফনামা দাখিল করতে হবে। তারপর তিনি গণেশ চতুর্থীর উৎসব পালন করুন।" তবে পুজো অর্চনা করলেও কোনও মিছিল বা জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। বলা হয় সমস্ত অনুষ্ঠান হাউজিং কলোনির মধ্যেই যেন সীমাবদ্ধ থাকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: