Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে ‘ঘর ওয়াপসি’
মধ্যপ্রদেশে ৩০ জন মুসলিম ফিরে এলেন সনাতন ধর্মে (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Ghar Wapsi in Madhya Pradesh) ৩০ জন মুসলিম ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে সনাতনে ফিরে এলেন। ইন্দোরের সামাজিক সংগঠন ‘সাঝা সংস্কৃত মঞ্চ’- এর সভাপতি শ্যাম পাওয়ারি এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘৩০ জন মানুষ ‘ঘর ওয়াপসি’ করেছেন স্বেচ্ছায়। সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছেন। ইসলামকে ত্যাগ করেছেন। তাঁদের সনাতন ধর্মে ফিরে আসাটা সম্পূর্ণ আইনিভাবে বৈধ এবং তা ‘মধ্যপ্রদেশ রিলিজিয়াস ফ্রিডম অ্যাক্ট-২০২১’ অনুসারে হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত ৩০ জনের মধ্যে ১৪ জন মহিলা রয়েছেন।
‘সাঝা সংস্কৃত মঞ্চে’র সভাপতি পাওয়ারি আরও জানিয়েছেন, যাঁরা ‘ঘর ওয়াপসি’ করেছেন, তাঁদের পূর্বপুরুষরা ইন্দোরে থাকতেন। কিছু জনের পূর্বপুরুষ পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে (Ghar Wapsi in Madhya Pradesh) বাস করতেন। তাঁরা সকলেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। প্রসঙ্গত, সনাতন ধর্মে ফিরে আসার এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় ইন্দোরের বিখ্যাত খরজানা গণেশ মন্দিরে।
ইন্দোরের ওই গণেশ মন্দিরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যজ্ঞের ব্যবস্থা করা হয়। রীতি মেনে প্রত্যেকে সনাতন ধর্মে ফিরে আসেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে ছিলেন ৩৪ বছর বয়সী নিলফার যিনি পরিচিত হলেন নিকিতা নামে। অন্যদিকে, ৩৪ বছর বয়সী আকসার তিনি পরিচিত হলেন আকাঙ্ক্ষা নামে। গোটা অনুষ্ঠানটিতে হাজির ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারাও। তাঁরা বলেন, ‘‘যাঁরা ইসলামকে পরিত্যাগ করে সনাতন ধর্মকে গ্রহণ করলেন, তাঁদের মধ্যে একটি বালক ছিল যার নাম রোহিত। কয়েক বছর আগেও সে হিন্দু ছিল। কিন্তু তাকে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তকরণ করা হয়। পুনরায় সে সনাতন ধর্মে ফিরে এল।’’ তবে এটাই নতুন বা প্রথম নয়। চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল ওই একই মন্দিরে ৯ জন মুসলিম ইসলামকে পরিত্যাগ করে সনাতন ধর্মে ফিরে আসেন।
‘সাঝা সংস্কৃত মঞ্চে’র সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকেরই সনাতন ধর্মে ফিরে আসাটা আইনিভাবে বৈধ। তাঁরা কোর্টে এফিডেফিট জমা করেছেন। ৩০ জন মুসলিমের সনাতন ধর্মে ফিরে আসার কথা স্বীকার করেছে স্থানীয় প্রশাসনও। এর পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন (Madhya Pradesh) আরও জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি যেখানে বলা হচ্ছে, কোনও রকম চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ওই মুসলিমরা হিন্দু হয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।