Burqa: গিরিরাজের দাবি, উগ্র মৌলবাদীরা নতুন ধরনের সংস্কৃতি আমদানি করেছেন, যেখানে অপ্রয়োজনীয় জায়গাতেও মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে হচ্ছে...
গৃহযুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করছেন রাহুল গান্ধী, তোপ গিরিরাজের (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘দেশে একটি নতুন সংস্কৃতি আমদানি হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে উগ্র মৌলবাদীদের ফতোয়ার কারণে মহিলারা সেই সমস্ত জায়গাতেও বোরখা (Burqa) পরছেন, যেখানে হয়ত তার দরকারই নেই।’’ গিরিরাজের দাবি, ‘‘মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে এই দেশে। এদেশে ১০০ কোটিরও বেশি হিন্দুর কাছে এগুলি নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তার কারণ রাহুল গান্ধী কিংবা লালু প্রসাদ যাদব, তাঁরা হচ্ছেন ‘ভোটের সওদাগর’। তাঁরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য এগুলো সমর্থন করছেন। এদিন গিরিরাজ জমিয়তে-উলেমা-হিন্দের প্রধান আরশাদ মাদানিকেও তীব্র আক্রমণ করেন। একই সঙ্গে ইত্তেহাদ-ই-মিলাদি কাউন্সিলের প্রধান তকবীর রাজাকেও তিনি একহাত নেন। তাঁর মতে, ‘‘এঁরা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে।’’
বর্তমানে নারী সশক্তিকরণের সময় চলছে
এদিন তিনি (Giriraj Singh) আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে নারী সশক্তিকরণের সময় চলছে। মুসলিম দেশগুলিতে বোরখার বিরুদ্ধে নারীরা আন্দোলন করছেন। কিন্তু ভারতবর্ষে উগ্র মৌলবাদীরা নতুন ধরনের সংস্কৃতি আমদানি করেছে, যেখানে অপ্রয়োজনীয় জায়গাতেও তাঁরা বোরখা (Burqa) পরছেন।’’ প্রসঙ্গত, মুসলিম নেতা মাদানি সম্প্রতি বলেছেন যে, পাঁচ লাখ লোক তাঁরা জমায়েত করবেন, ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে। আইনের বিপক্ষে গিয়ে তাঁরা কিছুই করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন গিরিরাজ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেও তোপ দেগেছেন তিনি। তিনি (Giriraj Singh) বলেন, ‘‘সারাদেশে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে সবচেয়ে বেশি কংগ্রেস দল। কারণ তারাই দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চায়। শুধুমাত্র তাই নয়, রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী চাইছেন সারা ভারতে একটা অস্থির পরিবেশ তৈরি হোক। এইভাবে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করে তিনি গৃহযুদ্ধে মদত দিতে চান এবং ভারতবর্ষকে এর মাধ্যমে ধ্বংস করতে চান।’’ খাড়্গেকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘খাড়্গে সাহেব আপনার উদ্দেশ্য কখনও পূরণ হবে না, কারণ ভারতবর্ষের যুবসমাজ বর্তমানে জেগে গিয়েছে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।