Hamida Banu: গুগল ডুডুলে হামিদা বানু, চেনেন এই মহিয়সীকে?...
হামিদাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য গুগলের।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামিদা বানুকে (Hamida Banu) মনে আছে? মনে না থাকলেও অবশ্য ক্ষতি নেই। ভারতীয় এই মহিয়সীকে মনে করিয়ে দিচ্ছে গুগলের ডুডুল (Google Doodle)। পুরুষ-দাপিত মল্লযুদ্ধের যুগে তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা, যিনি দাপিয়ে বেড়িয়েছেন চার-পাঁচের দশক। তিনি ভারতের প্রথম প্রফেশনাল মহিলা মল্লযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। চার-পাঁচের দশকে ভারতের মতো পুরুষ-শাসিত সমাজে বেড়া ভাঙার কাজটা সহজ ছিল না। এই কঠিন কাজটাই করে দেখিয়েছেন হামিদা।
১৯৫৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বছর তিরিশের হামিদা (Hamida Banu) জানিয়েছিলেন, যে পুরুষ মল্লযুদ্ধে হারাতে পারবেন তাঁকে, তাঁরই গলায় বরমাল্য দেবেন তিনি। কেবল বলাই নয়, তিনি যে পুরুষের কাছেও অপরাজেয়, কাজেও তা করিয়ে দেখিয়েছিলেন হামিদা। দুই পুরুষ পদকজয়ীকে আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী করেছিলেন হামিদা। এঁদের মধ্যে একজন পাতিয়ালা থেকে, অন্যজন খাস কলকাতার। সেই বছরই ভাদোদরায় তৃতীয় ম্যাচে হামিদা লড়েছিলেন বাবা পালোয়ানের সঙ্গে। মাত্র ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে তাঁকেও ধরাশায়ী করেছিলেন হামিদা।
অন্য এক প্রতিদ্বন্দ্বী তো আবার মহিলা বলে হামিদার (Hamida Banu) সঙ্গে লড়াই করতেই চাননি! প্রায় এক দশক ধরে অপরাজেয়ই ছিলেন হামিদা। খবরের কাগজগুলো তাঁকে ‘আমাজন অফ আলিগড়’ অভিধায় ভূষিত করেছিল। ১৯৫৪ সালে হামিদা (Hamida Banu) হারিয়েছিলেন ভেরা চিস্তিলিনকে। তাঁকে বলা হত রাশিয়ার ‘মহিলা ভালুক’। সেই ভালুককেই হামিদা মাত দিয়েছিলেন এক মিনিটেরও কম সময়ে। হামিদার জয়ের কাহিনি বারংবার হেডলাইন হয়েছে খবরের কাগজগুলোতে। তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, ওজন ১০৮ কেজি। শক্তি ধরে রাখতে প্রতিদিন ৫.৬ লিটার দুধ খেতেন তিনি। ফলের রস খেতেন ১.৮ লিটার। স্যুপ খেতেন ২.৮ লিটার।
আরও পড়ুুন: প্রার্থী হতে পারলেও, ভোট দিতে পারবেন না বন্দিরা, কেন জানেন?
খাসির মাংস আর আমন্ড খেতেন প্রায় এক কিলো করে। একটা করে মুরগিও খেতেন, আর খেতেন দুটো করে পাঁউরুটি। তাঁর দৈনিক খাদ্য তালিকায় ছিল ৫০০ গ্রাম বাটার, ৬টি ডিম এবং দু’প্লেট বিরিয়ানি। প্রতিদিন ঘুমোতেন ৯ ঘণ্টা করে। অনুশীলন করতেন ৬ ঘণ্টা ধরে। এই অনুশীলনই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল সাফল্যের শিখরে। যে সাফল্য এবং লড়াইকে কুর্নিশ করল গুগল, ডুডুলে ছবি দিয়ে (Google Doodle)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।