গত দু’বছরে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২২ সালে প্রস্তাবিত অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে এককালীন ছাড় দেওয়া হবে।
সেনার অভিযান।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্পে (Agnipath scheme) নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা (upper age limit) বাড়াল কেন্দ্র। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি বছর ভারতীয় সেনার (Indian Army) তিন বিভাগে ৪৬ হাজার তরুণ-তরুণীকে নিয়োগ করা হবে। মাধ্যমিক পাশের পরই এই পদের জন্য আবেদন করা যাবে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরও ছেলে-মেয়েরা অগ্নিবীর হিসেবে দেশসেবায় নিয়োজিত হতে পারবেন।
তবে এই পদে আবেদনের ক্ষেত্রে বয়স হতে নূন্যতম সাড়ে ১৭ বছর। গত মঙ্গলবার ভারতীয় সেনার তিন বিভাগের প্রধান অর্থাৎ সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (General Manoj Pande), নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar), এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর (ACM V R Choudhury) উপস্থিতিতে এই অগ্নিপথ স্কিমের ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। জানানো হয়, ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২১ বছর পর্যন্ত যুবক-যুবতীরা চার বছরের চুক্তিতে সেনায় নিযুক্ত হতে পারবেন। তবে, বৃহস্পতিবার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করার কথা জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: বিপুল বেতন পাবেন 'অগ্নিবীর'রা! মেয়াদ শেষে এককালীন করমুক্ত টাকার প্রস্তাবও
কেন্দ্র এদিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত দু’বছরে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। এই বিষয়টি সম্পর্কে সরকার যথেষ্ট সচেতন। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২২ সালে প্রস্তাবিত অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে এককালীন ছাড় দেওয়া হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২৩ করা হচ্ছে। করোনার জন্য গত দু'বছর সেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। ফলে অনেক যুবক-যুবতীই বঞ্চিত হয়েছেন। সেনাতেও শূন্যপদের সৃষ্টি হয়েছে। একথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
চুক্তির ভিত্তিতে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের বিরুদ্ধে দেশের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতে আমল দিতে নারাজ সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence) সূত্রে জানানো হয়েছে, এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) একটি দূরদর্শী প্রকল্প। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে 'অগ্নিবীর'রা (Agniveer) বহু জায়গা থেকেই কাজের সুযোগ পাবেন। সরকারি সংস্থা, রাজ্য পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী, বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা প্রতিটি ক্ষেত্রেই অগ্রাধিকার পাবেন 'অগ্নিবীর'রা।